স্পোর্টস ডেস্ক:
সুযোগ থাকলে ম্যারাডোনা হয়তো মাঠেই নেমে যেতেন কাল। ভিআইপি বক্স থেকে যেভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছিলেন নিজের দলকে, সেটা অস্বাভাবিক কিছু না।
বাঁচা-মরার ম্যাচে মঙ্গলবার রাতে মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে এই ম্যাচ হারলেই বাড়ির বিমান চড়তে হতো লিওনেল মেসির দলকে।
এ যাত্রায় অন্তত বেঁচে গেলো বলা যায় আর্জেন্টাইনরা। বিদায়ের ঘণ্টা বাজতো ড্র হলেও।
এমন সমীকরণের মুখে শুধু ম্যারাডোনা একাই নয়, গোটা বিশ্বের কোটি ভক্তেরও হাসফাঁস অবস্থা দাঁড়িয়েছিল।
প্রথম ১৩ মিনিট ধরে গোলশূন্য থাকার পর যখন ১৪ মিনিটের মাথায় গোল আসে মেসির পা থেকে তখন যেন এক লাফে মাঠে নেমে পড়বেন ৫৭ বছর বয়সী ম্যারাডোনা।
আর্জেন্টাইন এই বিশ্বকাপ জয়ী আগে থেকেই শারীরিক অসুস্থ ছিলেন। প্রথম গোল হওয়ার পর ভিআইপি বক্সে চেয়ারের উপর দাঁড়িয়ে চিৎকার করার সময় দেখা যায়, ম্যারাডোনা স্বাভাবিক ছিলেন না।
পরে জানা যায়, চিৎকার করার সময় দম আটকে গিয়েছিল তার। তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের শরণাপন্ন হন তিনি।
ম্যাচ শেষ ম্যারাডোনা বলেন, আমি এখন ভালো আছি, তবে ভালো ছিলাম না। আমার দম আটকে গিয়েছিল প্রথম গোল হওয়ার পর। ডাক্তাররা বলেছিল বাড়ি চলে যেতে কিন্তু দলকে ফেলে রেখে কীভাবে বাড়ি যাই।