সুন্দরবন সংলগ্ন ‘পরিবেশ সংকট’এলাকায় ছাড়পত্রের অপেক্ষায় ১৬ শিল্প প্রতিষ্ঠান

0
779

নিজস্ব প্রতিবেদক : সুন্দরবনের সন্নিকটে আরও ১৬টি নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান ছাড়পত্রের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করেছে। আবেদনপত্রগুলোর বয়স সর্বোচ্চ পাঁচ বছর থেকে নি¤েœ দু’বছর। অধিকাংশ শিল্প প্রতিষ্ঠান মংলা বন্দর এলাকার। সুন্দরবন সংলগ্ন ৯ উপজেলার ২৪১টি মৌজা পরিবেশগত সংকটপন্ন এলাকা বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর, খুলনার এক স্মরণিকায় তৎকালীন পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন এক প্রবন্ধে এ তথ্য প্রকাশ করেছেন। নতুন আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, মংলা ইপিজেড এলাকায় স্টেইনলেস স্টিলের পণ্য তৈরি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স আইনক্স লিমিটেড, কাটুন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মুন স্টার পলিমার, পাট থেকে সুতা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হুয়া জিয়াং জুট প্রোডাক্টস, বিদ্যুৎ সাব স্টেশন ওমেরা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড, এলপিজি বোটলিং তৈরি প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্যাস লিমিটেড, বন্দর জেটি এলাকায় দুবাই বাংলাদেশ সিমেন্ট মিলস্, সিমেন্ট তৈরি প্রতিষ্ঠান দুবাই বাংলাদেশ সিমেন্ট মিলস সম্প্রসারণ), বন্দর এলাকায় মংলা সিমেন্ট ফ্যাক্টরী, এলপিজি বোটলিং তৈরি প্রতিষ্ঠান পেট্রোম্যাক্স এলপিজি লিমিটেড, গ্যাস পাইপ লাইন তৈরি প্রতিষ্ঠান নাভানা সিএনজি লিমিটেড, মংলার দিগরাজে রিফাইনারী প্রতিষ্ঠান ফমকন রিফাইনার, বিদ্যারবাহন নামক এলাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্র ওরিয়ন পাওয়ার খুলনা লিমিটেড, দাকোপে এলপিজি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্রিন টাউন এলপিজি লিমিটেড, খুলনার কয়রা উপজেলার গিলেবাড়ি এলাকায় মুরগি পালন প্রতিষ্ঠান মেহেদী লেয়ার ফার্ম, একই উপজেলার হড্ডা গ্রামে বরফ তৈরি প্রতিষ্ঠান ভাই ভাই বরফ কল ও ষোলহালিয়া গ্রামে ভাই ভাই ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ নামক ওয়েল্ডিং প্রতিষ্ঠান।
সংশ্লিষ্ট প্রবন্ধে উল্লিখিত তথ্য অনুযায়ী, ওরিয়ন পাওয়ার কোম্পানি ২০১৩ সালের ১ আগস্ট আবেদন করে। বাকি আবেদনগুলো ২০১৫ সালের। ইতিমধ্যেই বরফ কল, মুরগি পালন কেন্দ্র ও সিমেন্ট ফ্যাক্টরীতে উৎপাদন শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপরি পরিবেশ অধিদপ্তর, খুলনার সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল মালেক মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আবেদনপত্রগুলো জাতীয় পরিবেশ কমিটির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিল। পরিবেশবাদী সংগঠন এসব প্রতিষ্ঠান স্থাপনে আপত্তি করে হাইকোর্টে রীট করে। রীট শেষ না হওয়া পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না। অপরাপর সূত্রগুলো জানান, নাভানা সিএনজি লিমিটেড নির্ধারিত স্থানে সাইনবোর্ড টানিয়ে দখল নিয়েছে। পরিবেশগত সংকটাপন্ন ইউনিয়নগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া, ভুরুলিয়া, আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া, প্রতাপনগর, খাজরা, খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি, উত্তর বেদকাশি, মদিনাবাদ, মহারাজপুর, মহেশ্বরীপুর, বাগালি, আমাদি, পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালি, চাঁদখালি, সোলাদানা, দেলুটি, দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা, কৈলাশগঞ্জ, লাউডোব, তিলডাঙ্গা, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা, বাইনতলা, উজলকুড়, মংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা, সোনাইতলা, মিঠাখালি, চিলা, চাঁদপাই, সুন্দরবন, মোড়েলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা, খাওলিয়া, নিশানবাড়িয়া, শরণখোলা উপজেলার সাউথখালি ও তাফালখালি।