সাতক্ষীরায় ভুয়া জন্ম নিবন্ধন দেখিয়ে বাল্য বিবাহ

0
909

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলার সর্বত্র বর-কনের ভুয়া জন্ম নিবন্ধন কার্ড দেখিয়ে বাল্য বিবাহ’র সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর জন্ম নিবন্ধন দেখানোর ফলে সঠিক বয়স নির্ণয়ের ক্ষেত্রে প্রশাসনেরও কিছু করার থাকে না। ফলে ক্রমেই বেড়ে চলেছে বাল্য বিবাহের সংখ্যা। আর এই বাল্য বিবাহ বন্ধে ভুয়া নিবন্ধন তৈরির অপচেষ্টা বন্ধের দাবি সচেতন সমাজের।
সূত্র জানায়, ২২ মে অভিভাবকদের সম্মতিক্রমে স্থানীয় মৌলভী ও নিকাহ রেজিস্ট্রার দ্বারা ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সদর উপজেলার উত্তর কাটিয়া গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে মো: মিজানুর রহমান সবুজ ও কালিগঞ্জ উপজেলার সাতপুর গ্রামের নাজমুন নাহার নিপা। গত ৩ জুন সাতক্ষীরা বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের কার্যালয় এর মাধ্যমে তারা এ তথ্য জানান।
বিয়েতে বর কনের বয়স প্রমাণের ক্ষেত্রে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন কার্ড দেখানো হয়েছে। যা খুব সহজেই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টাকার বিনিময়ে সংগ্রহ করা যায়। জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী বর মিজানুর রহমান এর বয়স ২৫ ও কনে নিপা’র বয়স ১৯ দেখানো হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কনে নিপা ২০১৭ সালে সাতক্ষীরার নবারুণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে থেকে এসএসসি পাশ করেন। সেখানে তার জন্ম তারিখ দেখানো হয়েছে ০১-০৯-২০০২ ইং। সেক্ষেত্রে কনের বয়স এখন ১৫ বছর ৯ মাস।
আরও জানা গেছে, কনে নিপার বিয়ের উপযুক্ত বয়স না হওয়ায় তাকে বাল্য বিবাহ দেওয়ার জন্য অর্থ দিয়ে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন কার্ড তৈরি করা হয়েছে। আদালতে জন্ম নিবন্ধন দেখিয়ে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে প্রশাসনও নির্বিকার। কেননা বিবাহের সময় বয়স প্রমাণের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন দেখাতে হয়। সেটা যদি অর্থের মাধ্যমে তৈরি করে বয়স বাড়ানো হয় সেক্ষেত্রে তাদের কিছূ করার নেই বলে জানান প্রশাসনের এক কর্মকর্তা।
অভিযোগ রয়েছে, ২ বছর আগে একটি মামলায় পাত্র মিজানুর রহমান সবুজ’র ৬ মাসের কারাদণ্ড হয়েছিলো। এছাড়া স্থানীয় মিলন এর মেয়ে মিম নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলো বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে কনে নাজমুন নাহার নিপার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।