নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনাটাইমস :
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের দাবি করেন অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার। তিনি বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এ ধরনের হামলা সম্ভব ছিল না। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছিল।
খুলনার চালনা পৌরসভার উদ্যোগে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে পৌরসভা চত্বরে আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংরক্ষিত নারী-৩০ (খুলনা-বাগেরহাট) আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এসব কথা বলেন।
চালনা পৌরসভার মেয়র সনত কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তারা সেদিনের বর্বরোচিত হামলার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার এবং ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীসহ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা একই সূত্রে গাঁথা। বক্তারা বলেন, ২১ আগস্ট পরিকল্পিত ওই হামলার নেপথ্যের শক্তি এখনো সক্রিয়। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি ওই শক্তিকে মোকাবিলায় দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।
তাঁরা আরও বলেন, সেদিনের বর্বরোচিত হামলার পর পুলিশ নিহত ব্যক্তিদের লাশ ও আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করার পরিবর্তে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়েছে এবং লাঠিচার্জ করেছে। এর লক্ষ্য ছিল হামলাকারীদের নির্বিঘ্নে পালিয়ে যেতে সহায়তা করা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গ্রেনেড হামলায় দলের কেন্দ্রীয় নেত্রী আইভি রহমানসহ অন্তত ২৪ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হন। গ্রেনেড হামলার ঘটনার মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের কয়েকজন সাবেক মন্ত্রীও আসামি। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ রায়, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল কাদের, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ শফিকুল ইসলাম আক্কেল।
বক্তৃতা করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম রুহুল আমীন, অধ্যাপক দুলাল রায়, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান গৌরপদ বাছাড়, পৌর সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য কেএম কবির হোসেন, পৌরসভার প্রকৌশলী প্রনব মল্লিক, আ’লীগ নেতা শিবপদ পোদ্দার, কনিকা বৈরাগী, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি গোবিন্দ বিশ্বাস, চালনা বাজার ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি গৌমত সাহা, অমালেন্দু রায়, পৌর কাউন্সিলর রবিন্দ্রনাথ সরদার, মহসিন আকুঞ্জি, দেবাশীষ ঢালি, মঞ্জু রানী ধর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাম্মেল হক সরদার, আব্দুল ওয়াহেদ গাজী, ননীগোপাল মণ্ডল, শচীন্দ্রনাথ মণ্ডল, হাবিবুর শেখ, মোহন লাল সাহা, অমর বিশ্বাস, মিজানুর রহমান টুটুল, শিবপদ মণ্ডল, জয়প্রকাশ রায়, চয়ন সাহা, হরিদাস হালদার, সাবেক ছাত্রনেতা রবার্ট হালদার, রতন মণ্ডল, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আলামিন শেখ, ফয়সাল শরীফ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজগর হোসেন বাপ্পি, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেল কাজী, সাধারণ সম্পাদক রাহুল রায় প্রমূখ।