সংবাদকর্মীদের মুঠোফোনে তথ্য দিতে চান না কেএমপি’র ওসি মোশাররফ

0
402

নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) খালিশপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন সংবাদকর্মীদের মুঠোফোনে তথ্য দিতে চায় না বলে অভিযোগ উঠেছে। খুলনায় কর্মরত একাধীক সংবাদকর্মী এমন অভিযোগ দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পাশাপাশি অসৌজন্যমূলক আচরণেরও অভিযোগ তোলেন তারা। এনিয়ে সংবাদকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্ট্রি হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে খালিশপুর থানায় ইয়াবাসহ আটক ছাত্রলীগ নেতার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি (ওসি মোশাররফ) সুস্পষ্টভাবে খুলনাটাইমস’র প্রতিবেদককে বলেন, ফোনে কোন তথ্য দেয়া যাবে না। যদি তথ্য দরকার হয়, তবে থানায় এসে নিতে হবে। এরপরই সামাজিক মাধ্যমে এনিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। তখন থেকে নিজেদের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে সংবাদকর্মীরা এর তীব্র সমালোচনা শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্যে সংবাদকর্মীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। হাস্যরসে কতিপয়ের মতবাদ, তদবির বাণিজ্য রমরমা করতেই হয়তো তার এমন আচরণ।

সূত্রমতে, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন। যার মাধ্যমে নিজের নামে, তার স্ত্রী দিলারা হোসেন ও সন্তান মুদিলাতুল হুসনার নামে জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এমন অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত খুলনা জেলা কার্যালয়ে এলে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়।
দুদক খুলনা জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যাংক ও বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়ে তথ্য চেয়েছে দুদক। যার জবাব পেলেই মামলা দায়েরসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সংবাদকর্মীর অভিযোগ, খালিশপুর থানায় এক প্রকার আসামী বিক্রির হাট বসছে। প্রতিদিন কোন না কোন সাধারন মানুষ হচ্ছেন হয়রানির স্বীকার। থানার হাজত, প্রবেশ-বাহির’র পথ সবই সিসি ক্যামেরায় আওতাধীন। প্রতিদিন বিভিন্ন মামলা বা ঘটনায় আটক ব্যাক্তিদের রেজিষ্টার, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং আসামী চালানের রেজিষ্টার চেক করা হলেই প্রকৃত তথ্য উদঘাটন হবে।
এনিয়ে ওসি সরদার মোশারেফ হোসেনে সাথে খুলনাটাইমসের পক্ষ থেকে একাধীকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।