অনলাইন ডেস্কঃ
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে নোঙর করে রাখা লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একটি যাত্রীবাহী ট্রলারের ছাদ থেকে পড়ে নিখোঁজ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে লাশগুলো ভেসে উঠলে স্থানীয়রা নৌ-পুলিশকে জানায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত মরদেহগুলোর মধ্যে নিখোঁজ দ্বীন ইসলাম এবং ইমনের মরদেহ বলে তার পরিবারের স্বজনরা শনাক্ত করেছেন। অপর একটি মরদেহের এখনও পরিচয় মেলেনি। তবে এটি নিখোঁজ ওসমান গনির মরদেহ বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তার কোনও আত্মীয়-স্বজন মরদেহের খোঁজে আসেনি। নিহত তিনজনের বাড়ি বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ ইউনিয়ন এলাকায়।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ জানান, নিহতদের মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। ওসমান গনির পরিবারের স্বজনদের খবর দেয়া হয়েছে। তারা এসে মরদেহ শনাক্ত করলে হস্তান্তর করা হবে।
প্রসঙ্গত, গেলো আট জুলাই রোববার রাত সাড়ে নয়টায় শহরের সেন্ট্রাল খেয়াঘাট থেকে ১০০ থেকে ১৫০ জন যাত্রী নিয়ে বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ খেয়াঘাটের উদ্দেশে যাওয়ার সময় ট্রলারটি ঘাটের পাশে নোঙর করে রাখা একটি লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এসময় ট্রলারটির ছাদ ভেঙে পড়ে বেশ কয়েকজন যাত্রী নদীতে পড়ে গেলেও অনেকেই সাঁতড়ে তীরে উঠে পড়েন। তবে নিখোঁজ থাকেন তিনজন। এ ঘটনার পর ওই রাত থেকেই বিআইডব্লিউটিএ এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজদের উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান শুরু করে।