বাগেরহাটের শরণখোলায় সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ১০ টাকা কেজির চাল ৩০ কেজির ইনটেক বস্তায় ৫-৬ কেজি করে কম থাকার অভিযোগ করেছে ক্রেতারা। শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশ কয়েকটি বস্তা জব্দ করেছে। বস্তায় ওজনে চাল কম থাকায় ডিলার ও খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা পরস্পরকে দায়ি করেছেন।
শুক্রবার সকালে রায়েন্দা বাজারের নুরুজ্জামান তালুকদার, শিলা রানী সহ কয়েক জন সুবিধাভোগী ডিলার আজমল হোসেনের দোকান থেকে ৩০ কেজির সেলাই করা বস্তায় চাল নিয়ে মেপে দেখেন বস্তায় ২৭ কেজি চাল রয়েছে। রায়েন্দা বাজারের ডিলার শহিদুল ইসলাম বলেন, ৪৭২ কার্ডের মধ্যে থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে ২৬০বস্তা চাল ছাড়িয়ে বিতরণ শুরু করি। খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা না মেপে প্রতিটি বস্তা ৩০ কেজি হিসেবে আমাকে বুঝিয়ে দেন। কিন্তু চাল বিতরণের সময় কোনো কোনো বস্তায় ৩ থেকে ৬ কেজি পর্যন্ত কম পাওয়ায় সুবিধাভোগীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এ অবস্থায় আমাকে এখন চাল কিনে ৩০ কেজি করে কার্ডধারীদের বুঝিয়ে দিতে হচ্ছে।
চাল বিতরণের সময় তদারককারী কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার সামনেই গোডাউন থেকে চাল এনে বিতরণকালে তাতে কম পাওয়া যায়।
উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) দেবদূত রায় বলেন, কার্ডের সংখ্যা অনুয়ায়ী ৩০ কেজির বস্তা হিসেবে ডিলারদের বুঝিয়ে দেই। পরবর্তীতে কম হলে আমার তাতে কোনো দায়দায়িত্ব নেই।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিলিপ কুমার সরকার বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ৩০ কেজির ইনটেক বস্তায় ২৬ কেজি করে চাল থাকায় কয়েকটি বস্তা জব্দ করা হয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস বলেন, চাল ওজনে কম পাওয়ার অভিযোগ ওঠায় কয়েকটি বস্তা জব্দ করা হয়েছে। এব্যাপারে তদন্ত কমিটি করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিনিধি