যে সাহসী কাজ করে পুরস্কৃত হলো অন্তরা, জানলে অবাক হবেন

0
503

খুলনাটাইমস ডেস্কঃছিনতাইকারীকে ধরে থানায় দেয়ায় এক নারী আইনজীবীকে পুরস্কৃত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। তার নাম অন্তরা রহমান।সোমবার খোদ ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া এই আইনজীবীকে সম্মানিত করেন।প্রতি মাসে ডিএমপির পক্ষ থেকে রাজধানীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তায় ভালো রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ পুলিশ সদস্যদের নগদ অর্থ দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। তবে এবার এই পুরস্কার পেলেন বাহিনীর বাইরের একজন।

সম্মানিত হওয়ার পর পুলিশকে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলেননি অন্তরা। তিনি বলেন, ‘পুরস্কার বড় ব্যাপার না। পুলিশ আমাকে যে সম্মান দিয়েছে সেটা আমার কাছে অনেক বড় কিছু। সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি পুলিশের কাছ থেকে এমন সম্মান পেয়ে বড় কিছু মনে করছি। আমার কাছে পুলিশের কাছ থেকে সম্মান, ভালোবাসা পাওয়াটা অনেক বড় কিছু ছিল।

অন্তরা জানান, গত ১৭ আগস্ট সন্ধ্যায় রিকশায় বনশ্রীর বাসায় থেকে জুরাইন যাচ্ছিলেন তিনি। যাত্রাবাড়ীর জনপদের মোড়ে হঠাৎ তার ব্যাগ ও হাতে থাকা মোবাইল ফোন এক ছিনতাইকারী টান দিয়ে নিয়ে যায়।

‘এ সময় আমিও তার পেছনে দৌড়াতে থাকি। তার চেহারা না দেখলেও পরনে থাকা প্যান্টের কালার ঠিক মনে রেখেছিলাম। হঠাৎ দেখি ছিনতাইকারী গায়েব হয়ে গেছে। তখন ভাবলাম ও নিশ্চয় কোনো বাসে উঠেছে। আমি একটা চলন্ত বাস টার্গেট করে উঠে পড়ি। পরে দেখি পুরা বাস খালি; শুধু চালক, তার সহযোগী ও ওই ছিনতাইকারী।বাসের চালক ও হেলপার আমাকে জিজ্ঞাসা করে কী হয়েছে। আমি বলি একজন ছিনতাইকারী বাসে উঠেছে। তখন বাসের স্টাফরা তাকে বাঁচাতে আমাকে বলে আপনি যেই ছিনতাইকারীর পিছনে দৌড়াচ্ছিলেন সে তো পেছের বাসে উঠেছে। তখন আমি বলি এটাই ওই ছিনতাইকারী।

অন্তরা বলেন, ‘এ সময় আমি ছিনতাইকারীর শার্টের কলার ধরে বাসের সিট থেকে উঠাই। তখন দেখি আমার ব্যাগ ও মোবাইল। কিন্তু বাস চালক বাস না থামিয়ে চালাতে থাকে। পরে চালককে একটা থাপ্পড় দিই এবং চিৎকার শুরু করি। তখন বাস থামে। কলার ধরে ছিনতাইকারীকে মারধর করতে দেখে সাধারণ মানুষও এগিয়ে আসে। পরে তাকে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যাই।

এই ঘটনার আগের দিন ওই ছিনতাইকারী কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিল বলেও জানান অন্তরা।যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অন্তরা রহমান বলেন, ‘কাজী ওয়াজেদ স্যার আমাকে অনেক হেলপ করেছে। মামলা করার সকল কাজ তিনি করে দিয়েছেন।মেয়েদের প্রতি এই আইনজীবী বলেন, ‘ঝুঁকি নেয়া উচিত না। তবে বলব, মেয়েদের হাত গুটিয়ে বসে থাকা উচিত না। যখন দেখছি একটা লোক খারাপ; যেখানে আমার হাত আছে পা আছে আমি কিছু করতে পারব তাহলে কিছু করা উচিত। শুধু পুলিশের দিকে তাকিয়ে থাকলেই হবে না। নাগরিক হিসেবে তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে।