এইচ এম শহিদুল ইসলাম, মারলগঞ্জ(বাগরহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের ১১৪ নং এসপি বারইখালী সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয়টি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। ১৯২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়টি নির্মানে সরকারিভাবে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ আজও গৃহীত হয়নি। পাওয়া যায়নি কোন সহযোগীতা। বয়সের ভার ন্যুজ্ব। এ ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের দুটি কক্ষ বছরের পর বছর শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ক্লাশ করছে। বিদ্যালয়টি অর্ধশত বছর ধরপই জরাজীর্ন। বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত ঘোষনার পরও শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে পাঠ কার্যক্রম অব্যহত রাখার চেষ্টা চালিয়েছেন। এ কারনে আবদনের প্রেক্ষিতে বেসরকারি সংস্থা মুসলিম এইডের আর্থিক সহযোগীতায় ২০১১ সালে তিন রুম বিশিষ্ট টিনপর ঘর নির্মিত হয়। এ তিন রুম বিশিষ্ট শ্রেণী কক্ষ ১৪২ জন শিক্ষার্থীদের স্থান সংকুলান হয়না। ঠাসাঠাসিতে শিক্ষা কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য দারুনভাবে ব্যহত হচ্ছে। অপরদিকে শিশু শিক্ষার্থীরা গরমের প্রভাবে ক্লাশে মনোযেগী হতে পারছেনা।
বর্তমান টিন সেট ভবনটি ভেঙ্গে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতির পাশাপাশি রয়েছে শতভাগ ইউনিফর্ম । সমাপনি পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের সাফল্য, বিভিন্ন জাতীয় দিবস উদযাপন সকলপর স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহন, ক্ষুদ ডাক্তার ও স্টুডেন্ট কাউন্সিল কার্যক্রম,অভিযোগ বাক্স স্থাপন, নিজস্ব উদ্দ্যোগে গেট নির্মান, প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীর নবীর বরন উৎসব, বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সব্জি ও ফুলের বাগান তৈরী , খেলাধুলায় কৃতিত্ব, মা সমাবেশ উৎযাপন সহ নানা কৃতিত্ব স্বাক্ষর রেখে চলেছে এ বিদ্যালয়টি।
প্রধান শিক্ষক ফারজানা বিথি জানান, বিদ্যালয়টি অনতিবিলম্বে নির্মাণ করা জরুরী। তাছাড়া এতে জরাজীর্ণ ভবন ঝুঁকি নিয়ে পাঠ কার্যক্রম পরিচালনা করা অম্ভব হয়ে পড়ছে। বিদ্যালয়ের ম্যানজিং কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেল জানান, অগ্রাধিকার ভিত্তিক এ বিদ্যালয়টি নির্মান খুবই প্রয়োজন। এলাকাবাসি জরুরী ভিত্তিতে বিদ্যালয়টি নির্মানের জন্য সরকারের সুদষ্টি কামনা করেছেন।