মোংলা প্রতিনিধি:
মোংলার জয়মনি এলাকায় আবারো মঙ্গলবার টর্নোডোর আঘাতে ব্যাপক কাচা ঘর-বাড়ী ও গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় বজ্রপাতে আহত হয়েছে রেহেনা নামের এক মহিলা। এর আগে সোমবারের টর্নোডোতে জয়মনি এলাকার প্রায় আড়াই’শ ঘর-বাড়ী বিধ্বস্ত, বজ্রপাতে ২ জন আহত ও নদীতে পড়ে একজন নিখোজ হন। মঙ্গলবার দুপুরে পশুর নদীর সুন্দরতলা এলাকা থেকে সোমবার নিখোজ হওয়া জেলে শফিকুল ইসলামের (৩০) লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয় জেলেরা।
মোংলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: নাহিদুজ্জামান জানান, সোমবার টর্নোডোর সময় বজ্রপাতে আহত হয়ে নদীতে পড়ে নিখোজ হওয়ার পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে চিলা বাজার সংলগ্ন সুন্দরতলা হতে শফিকুলের (৩০) মরাদেহ উদ্ধার হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বজ্রপাতে নিহত শফিকুলের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নিহত শফিকুল জয়মনির কাটাখালী গ্রামের কাশেম শেখের ছেলে। এছাড়া টর্নোডোতে ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক পরিবারকে বুধবার চাল, টিন ও নগদ টাকা প্রদাণ করা হবে। তবে মঙ্গলবারের টর্নোডোতে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয়ে কাজ চলছে, কাজ শেষ না হওয়া সঠিক পরিসংখ্যান দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান পিআইও নাহিদুজ্জামান।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে টর্নোডোতে ক্ষতিগ্রস্থ জয়মনি এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সাবেক সাংসদ ও বর্তমান খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। এ সময় তিনি বলেন, টর্নোডোতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের একটি মানুষও যাতে খোলা আকাশের নীচে না থাকে সেজন্য প্রত্যেককেই ত্রাণ (চাল, ডাল) সহায়তার পাশাপাশি ঘর নির্মাণ সামগ্রী ও আর্থিক অনুদান দেয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা অনুযায়ী দুই একদিনের মধ্যেই যাতে এ সহায়তা প্রদাণ করা যায় সেজন্য ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে।
পরে দুপুরে খুলনা সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক মিঠাখালী ইউনিয়নের খাসেরডাঙ্গা এলাকায় ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত খাসেরডাঙ্গা এবিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার ও ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে সোনাইলতলা ইউনিয়নের কাটাখালী-মান্দারতলা খালের উপর ২শ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি ব্রিজ নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন।