মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুডের ৭৫ নেতাকর্মীর মৃত্যুদণ্ড

0
367

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুডের ৭৫ নেতাকর্মীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রতিবাদে কায়রোতে বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এই রায় দেয় আদালত। এই বিক্ষোভে সরকারি পুলিশ ও সেনাদের গুলিতে কয়েকশ মানুষ নিহত হয়েছিল।
ব্রাদারহুডের জ্যেষ্ঠ নেতা এশাম আল-এরিয়ান এবং মোহাম্মদ বেতাগিকেও ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ব্রাদারহুডের আধ্যাত্মিক নেতা মোহাম্মদ বাদিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
প্রখ্যাত ফটোসাংবাদিক মাহমুদ আবু জেইদ, যিনি সাওখান নামেও পরিচিত তাকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ২০১৩ সালের আগস্টে কায়রোতে হত্যাকাণ্ডের ছবি তোলার অপরাধে তাকে এই দণ্ড দেয়া হয়।
সাওখানের আইনজীবী বলেছেন, তিনি কিছু দিনের মধ্যেই মুক্তি পাবেন।
শনিবার কায়রোর গণআদালতে বাদিসহ ৪৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং ৬১২ জনকে পাঁচ থেকে ১৫ বছরের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। সহিংসতা উসকে দেয়া, অবৈধ বিক্ষোভ সংগঠিত করাসহ নিরাপত্তাজনিত বিভিন্ন অপরাধে তাদের এই শাস্তি দেয়া হয়।
গণহারে এভাবে ফাঁসি ও কারাদণ্ড দেয়াকে ‘গ্লানিকর’ বলে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
অ্যামনেস্টির উত্তর আফ্রিকার পরিচালক নাদিয়া বোনাইম এই বিবৃতিতে বলেছেন, ‘রাবা এবং নাহদায় বিক্ষোভে অন্তত ৯০০ জনকে হত্যার ঘটনায় একজন পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়নি। এটা বিচারের নামে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ(এইচআরডব্লিউ) জানায়, ২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট মিশরের রাব্বা আল-আদাবিয়া মসজিদের কাছে বিক্ষোভকারীদের ওপর সামরিক অভিযানে এক দিনেই ৮০০’র বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। মুসলিম ব্রাদারহুড-সমর্থিত মোহাম্মদ মুরসিকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে উৎখাতের প্রতিবাদে তার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছিল। পুলিশ ও সামরিক বাহিনী তখন পরিকল্পিতভাবে জনসমাবেশে গুলি চালিয়েছিল। তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসির নির্দেশে ওই সব সমাবেশে সামরিক হামলা হয়েছিল।