বিজ্ঞপ্তি:
মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীর ২২খালসহ ময়ূর নদীর ¯্রােতধারা ফিরিয়ে আনার কোন বিকল্প নেই। জলাবদ্ধতা নিরসনে করতে হলে আলুতলা দশ গেট দিয়ে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। নদীর দূষণ মুক্ত করতে হবে। সরকারী -বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিতে হবে। যত্রতত্র নদীকে ব্যবহার করা যাবে না। বর্জ্য ফেলে নদীকে দূষণ করা যাবে না। প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে। প্রতিদিন যে বর্জ্য তৈরি হয়, তার প্রায় ১০ ভাগ প্লাস্টিক। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৫০০ বিলিয়ন প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে। যার মধ্যে প্রায় আট মিলিয়ন টন প্লাস্টিক সমুদ্রে পতিত হচ্ছে। এর ফলে এক মিলিয়ন সমুদ্রচারী পাখি ও এক লাখ সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীর মৃত্যুর মুখে পড়ছে। জনউদ্যোগ,খুলনার পদযাত্রা শেষে সমাবেশে এসব কথা বললেন বক্তারা।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জনউদ্যোগ,খুলনার আয়োজনে মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীর ২২খালসহ ময়ূর নদীর ¯্রােতধারা ফিরিয়ে এনে নদীকে বাচানোর দাবীতে পদযাত্রা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও বৃক্ষরোপন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীর লাযন্স স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়ে গল্লামারী হয়ে ময়ুর নদীর লিনিয়ার পার্ক ঘাটে গিয়ে শেষ হয়। স্বেচ্চাসেবী সংগঠন জনউদ্যোগের আয়োজনে এ পদযাত্রায় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি, নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাধারন মানুষ অংশগ্রহন করেন। জনউদ্যোগের আহবায়ক এ্যাড. কুদরত-ই -খুদার সভাপতিত্বে ইসরাত আরা হিরা ও জনউদ্যোগ, খুলনার সদস্য সচিব মহেন্দ্র নাথ সেনের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জলমা ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান আশিক, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা শ্যামল সিংহ রায়, ওয়াকার্স পার্টিও শেখ মফিদুল ইসলাম, নারী নেত্রী শামীমা সুলতানা শিলু, খুলনা পোল্ট্রি ফিস ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন, জাপার নেতা শাহ লায়েকুজ্জামান, বেলার বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহাফুজুর রহমান মুকুল, হিরন্ময় মন্ডল, বিধান চন্দ্র রায়, সাংবাদিক সুনিল দাস, আফজাল হোসেন রাজু, মো: সবুজুল ইসলাম, সামছুনাহার শিমুল, ফিরোজা বেগম, মো: জয়নাল আবেদীন বাবলু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহে প্রকৃতি ও পরিবেশের গুরুত্ব অপরিসীম। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকান্ডের কারণে প্রকৃতি ও পরিবেশে প্রতিনিয়ত দূষিত বর্জ্য যুক্ত হচ্ছে। তিনি পলিথিনের বিকল্প পাটের শপিং ব্যাগ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সকলকে অনুরোধ করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, খুলনা নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও পরিবেশ সুরক্ষায় ময়ূর নদীকে বাচানো ও ২২খাল খননের কোন বিকল্প নেই। তাই আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই মহানগরীর ১৬লাখ মানুষকে জলাবদ্ধতার হাত থেকে বাচাতে দ্রæত খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও পরিকল্পিতভাবে খনন এবং ময়ূর নদীর ¯্রােতধারা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানানো হয়। সমাবেশ শেষে ময়ূর নদে নৌকা র্যালি এবং লিলিয়ান পার্কে ফলজ গাছের চারা রোপন করা হয়।