ফকিরহাট প্রতিনিধি:
ফকিরহাটের ২৮ নং বাহিরদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বুলবুল রায়’র বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নিতীর অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে জানা যায়, বুলবুল রায় দীর্ঘদিন যাবৎ অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পদে থেকে দুর্নিতী করে যাচ্ছেন। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, বুলবুল রায় নিয়োগ প্রাপ্ত হবার পর আজ অবদি অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যাবস্থা ঢিলেঢালা ভাবে চলছে। প্রতিষ্ঠানের ফলাফল নিতান্তই খারাপ যার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীদের পরিবার।
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড ! আর সেই শিক্ষাদান প্রদানের মাধ্যম প্রধান শিক্ষিকায় যদি দুর্নিতীগ্রস্থ হয় তবে আজকের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কি শিখবে? অবশ্যয় ভালো শিক্ষা শিখবেনা। সরকারীভাবে শিক্ষার উপর বিশেষ অবদান রয়েছে ঠিকই কিন্তু সেই শিক্ষার মানোন্নয়ন বাড়ছেনা এই সকল দুর্নিতীগ্রস্থ শিক্ষকদের কারণে।
২০১৯ সালে ১,৫০,০০০ টাকা উন্নয়নের জন্য বরাদ্ধ করা হয় কিন্তু বুলবুল রায় ম্যানেজিং কমিটিকে ১,২৫,০০০ টাকার কাজের হিসাব দেখান। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যবৃন্দ বাকী ২৫,০০০ টাকার হিসাব চাইলে দেখাতে ব্যার্থ হন। একই সালে ২য় দফায় ৫০,০০০ হাজার টাকা বরাদ্ধ করা হয় যার প্রায় ২১,০০০ টাকা দিয়ে ডিজিটাল হাজিরা সিস্টেম সফটওয়্যার ক্রয় করা হয় কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ডিজিটাল হাজিরা সিস্টেমটি অব্যাবহতবাবে পড়ে আছে,আর বাকী টাকার হিসাব ও দিতে পাড়েননি এই প্রধান শিক্ষিকা।২০১৯ সালে ৩য় দফায় ১০,০০০ টাকা বরাদ্ধ করা হয় কিন্তু সেই অথেৃও এক টাকার হিসাবো ম্যানেজিং কমিটিকে দেখাননি । ৪র্থ দফায় একই সালে ঘূর্নিঝড় বুলবুলের কারণে ৫০০০ টাকা বরাদ্ধ করা হয় তার হিসাবো তিনি দেখাননি ম্যানেজিং কমিটিকে। ৫ম দফায় ১৫ই আগষ্ট উপলক্ষে অনূষ্ঠান ও খেলাধুলার আয়োজন বাবদ ৪০০০ টাকা বরাদ্ধ করা হয় কিন্তু টাকার কোন হদিস পাননি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি।
প্রধান শিক্ষিকা বুলবুল রায়’র সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি । তিনি সরাসরি ম্যানেজিং কমিটিকে দোষারোপ বলেন, আমার বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির লোকজন-কে আমি হিসাব দিয়েছি।
তবে ম্যানেজিং কমিটিকে দেখানো হিসাবের সাথে তার তৈরী করা ভুয়া বিল ভাউচারের কোন মিল পাওয়া যায়নি । এব্যাপারে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি আঃ কুদ্দুস শেখ সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যালয়ে ১,৫০,০০০ টাকা বরাদ্ধ হয়েছিল প্রধান শিক্ষিকা বুলবুুল রায় আমাদের ১,২৫,০০০ টাকার হিসাব দেখান । তার থেকে বাকী টাকার হিসাব চাইলে তিনি আমাদের দেখাতে নারাজ হন। পরে প্রধান শিক্ষিকা আমাকে ১০০০ টাকা ঘুষ দিয়ে বলেন, আপনি হিসাবের বিষয়ে যাবেননা কিন্তু আমি সেই টাকা গ্রহন করিনি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষিকা বুলবুল রায়’র কাছ থেকে আমরা হিসাব চাইলে আমাদের নানান অজুহাত দিয়ে হিসাব দেখাতে নারাজ। আমাদের এই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার দুর্নিতীর ব্যাপারে সকলেই জানেন কিন্তু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও কোন সুফল পাইনি , কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে তিনি বারবার দুর্নিতী করে পার পেয়ে যাচ্ছেন । তাছাড়া আমাদের এই বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যাবস্থা ব্যাপক খারাপ। এই বিদ্যালয়ে বিগত দিন তেকে আজ অবদি কেউ ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারেনি। আমরা এই দুর্নিতীগ্রস্থ শিক্ষিকার অবিলম্বে অপসারণ ও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানাচ্ছি।
বাড়ি অপরাধ ও দুর্ঘটনা বাহিরদিয়া পশ্চিমপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ