
স্পোর্টস ডেস্ক:
চলতি বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। পরের মাসে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে মাঠ মাতিয়েছিলেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। আবাহনীর জার্সিতে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও হন। সবশেষ এপ্রিলের শেষদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) একটি ম্যাচেও সাউথ জোনের হয়ে খেলেন দেশ সেরা এই পেসার।
মাঝে জাতীয় দল শ্রীলঙ্কার ও ভারতের বিপক্ষে নিদাহাস ট্রফি খেলে। সব শেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলে তিন ম্যাচের সিরিজ। লঙ্কানদের মাটিতে ফাইনালে পৌঁছেও শেষ পর্যন্ত শিরোপা হাত ছাড়া করতে হয় বাংলাদেশকে। অন্যদিকে আফগানদের বিপক্ষে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা নিয়ে ভারত থেকে দেশে ফিরতে হয়। এই দুই সিরিজই টি-টোয়েন্টি হওয়ায় আর মাঠে নামা হয়নি মাশরাফির।
চলতি মাসের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ব্যাপক ভরাডুবি হয় দলের। প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৩ রানে অল আউট হবার পর দুই ম্যাচেই ইনিংস ব্যবধানে হারারে লজ্জা পেতে হয়। নতুন কোচ স্টিভ রোডসের দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘদিন পর ক্রিকেটে ফিরলেন ওয়ানডে দলের নিয়মিত অধিনায়ক। ফিরেই বাজিমাত। ব্যাকফুটে থাকা দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে জয় এনে দিলেন।
সতীর্থদের জন্য কোন মন্ত্র ব্যবহার করছেন? ম্যাচ শেষে ম্যাশ বললেন, বিশেষ কিছুই নয়। বলেছি, হৃদয় উজাড় করে খেলতে, দেশের জন্য খেলতে। যা হয়েছে, তা তো হয়ে গেছেই (টেস্ট হতাশাজনক পারফরমেন্স) এটা নতুন সিরিজ। শুরুটা ভালো করতে পারলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’
রোববার টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত। শুরুতেই এনামুল হক বিজয়কে হারিয়ে বিপাকে দল। তামিমের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব। বৃষ্টি হানা দেয়ার পর ফের খেলা চালু। এতে আউটফিল্ডে স্লো হবার কারণে রানের চাকা সচল রাখতে বেগ পেতে হচ্ছিল টাইগারদের সবচেয়ে সেরা দুই ব্যাটসম্যানকে। তবু ধীরে ধীরে দলকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যান। আর শেষ সময় মুশফিকুর রহিমের টর্নেডো ইনিংসটি এনে দেয় লড়াকু সংগ্রহ।
অধিনায়ক বলেন, ব্যাটিং আজ শুরুতে চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু তামিম-সাকিব দারুণ ব্যাট করেছে। সুরটা বেধে দিয়েছে। শেষে মুশির ছোট্ট ইনিংসটি ছিল অসাধারণ।
গায়ানায় টাইগারদের রয়েছে সুখ স্মৃতি। পরের ম্যাচও এই প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামেই। তবে এটা কি বাংলাদেশের লাকি ভেন্যু মাশরাফি বলেন, ২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় এখনও মনে আছে। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলছি। এখানকার উইকেট আমাদের ধরনের সঙ্গে বেশ মানিয়ে যায়।