টাইমস ডেস্ক :
মধ্য পৌষের এই সময় শীতের কাঁপন ধরার কথা। কিন্তু পৌষে প্রকৃতি তার চিরাচরিত আচরণ বদলে ফেলেছে। যার প্রমাণ পাওয়া গেছে কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকায়। গতকাল রোববার সকাল থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
অবেলায় এ ধরনের বৃষ্টি আরও হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে এই বৃষ্টি দেশের উপকূলীয় এলাকায় হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প দেশের উপকূলের দিকে আসছে। এ কারণে বৃষ্টি হতে পারে জানিয়ে আজ সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল বিভাগের দু–এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে কক্সবাজার অঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকায় আকাশ আংশিক মেঘলা আকাশ ও শুষ্ক থাকতে পারে। তবে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
বৃষ্টি ও কুয়াশার পাশাপাশি দিনের বেলায় তাপমাত্রা কমতে পারে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, দেশের উত্তর–পশ্চিম অঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং তা অন্যত্র সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
আজ সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় এর মাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।