নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনার পাইকগাছা থানার এস আই মোঃ আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে কলেজ পড়–য়া এক শিক্ষার্থীকে মামলায় জড়িয়ে থানা হাজতে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিত শিক্ষার্থী মোঃ রাসেল মোড়লের পিতা শনিবার (১৪ আগস্ট) খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ সকল অভিযোগ করেন। অবশ্যই পুলিশ উক্ত অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবী করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে মোঃ আঃ আব্দুল মজিদ মোড়ল বলেন, মূল ঘটনা হলো গত ০৩/৬/২০২১ ইং তারিখে আমাদের গ্রামে অর্থাৎ উপজেলার কাশিমনগর গ্রামে প্রতিবেশী মোঃ শিমুল বিল্লাল নামে জনৈক ব্যক্তির বাড়িতে চুরি সংগঠিত হয়। ঘটনার পর গত ০৮/৬/ ২০২১ ইং তারিখে পাইকগাছা থানায় শিমুল বিল্লাল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চোর বা চোররা উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর- ০৪। এদিকে ঘটনার ৫/৬ দিন পর থেকে পাইকগাছা থানার এসআই আসাদুজ্জামান আমার বাড়িতে যেয়ে আমার পুত্র কপিলমুনি কলেজিয়েট স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র রাসেলকে খুজতে থাকে। রাসেল বাড়িতে না থাকায়, আমাকে বলে পুত্রকে নিয়ে থানায় আসবেন। আমি কারন জানতে চাইলে তিনি জানান, কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে, ভয়ের কোন কারন নাই। একাধিকবার বলার পর আমি সরল বিশ্বাসে গত ৮/৭/২০২১ তারিখে ছেলেকে নিয়ে থানার উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথিমধ্যে কপিলমুনি হাসপাতালের সামনে উক্ত দারগা আসাদুজ্জামানের সাথে দেখা হয়। এসময় আমি পুত্রকে দারোগার জিম্মায় তুলে দেয়। পরের দিন আমার স্ত্রী শিরিনা বেগম থানায় যেয়ে জানতে পারে দারগা আসাদুজ্জামান তার পুত্রকে সারা রাত ঝুলিয়ে নির্যাতন করেছেন। পরের দিনও থানা হাজতে রেখে নির্যাতন করে। তার পরের দিন ১০/৭/২০২১ ইং তারিখে শিমুল বিল্লাল এর দায়ের করা মামলায় আমার পুত্রকে আসামী দেখিয়ে পাইকগাছা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে চালান করে এবং ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত ২ দিনের আবেদন মঞ্জুর করেন, তবে তাকে শাররীক নির্যাতন করা যাবেনা মর্মে নির্দেশ প্রদান করেন। শারিরীক অসুস্থ দেখে কোর্ট এর জি আর ও পাইকগাছা উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। অদ্যবধি আমার ছেলে জেল হাজতে রয়েছে। পুত্র রাসেলকে যে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে,তাতে সে জীবনের তরে পুঙ্গুত্ব হওয়ার আশংকা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার পুত্র রাসেল মোড়ল লেখা-পড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকে। সে কোন খারাপ কাজের সাথে জড়িত নয়। তার নামে কোন চুরি মামলা নাই। আমার বিশ্বাস সে চুরি করতে পারে না। তিনি বলেন, শুধুমাত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ব্যক্তি বিশেষের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে অহেতুক আমার ছেলেকে উক্ত মামলায় জড়িয়েছে এবং ওই বিশেষ ব্যক্তিকে খুশী করতে থানা হাজতে রেখে আমার পুত্রকে অমানসিক নির্যাত করেছেন। তিনি নির্যাতনকরী দারোগা আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তি ও আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক তার নির্দোষ পুত্রকে উক্ত মামলা থেকে অব্যহতি কামনা করছি। এব্যাপারে মুঠোফনে এস আই আসাদুজ্জামান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। তাকে কোন নির্যাত করা হয়নি। তাছাড়া ধৃত রাসেল কোন প্রকার শিক্ষার্থী নয়।