পাইকগাছায় শাপলা ক্লিনিকে ৩ দিনে দু’প্রসুতি মায়ের মৃত্যু

0
378

অমল কৃষ্ণ মন্ডল, পাইকগাছা (খুলনা):
পাইকগাছায় শাপলা ক্লিনিকে ৩ দিনে দু’প্রসুতির মায়ের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভুক্তভোগী পরিবার জরুরীভাবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
জানা যায়, বুধবার রাত ১১ টায় গজালিয়ার আলমগীর ফকিরের স্ত্রী মারুফা খাতুন (২৫) নামে গৃহবধু প্রসাব যন্ত্রনার কারণে পাইকগাছা উপজেলা সদরের শাপলা ক্লিনিকে ভর্তি হয়। রাত ১২ টার দিকে কপিলমুনি ১০ শয্যার হাসপাতালের ডাঃ আব্দুর রব ও পাইকগাছা হাসপাতালের নীতিশ গোলদার তাকে সিজার করে। একটি কন্যা সন্তান হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার মারুফার শরীর থেকে রক্ত বন্ধ না হওয়ায় ডাক্তার ডেকে আনলে একই রোগীর আবারও অপারেশন করে জরায়ু ফেলে দেয়। এ সময় মারুফা খাতুন গুরুতর অসুস্থ হলে বৃহস্পতিবার রাতেই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ সুকৌশলে খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে শুক্রবার ভোররাতে তার মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার একই প্রতিষ্ঠানে কালুয়া গ্রামের মাসুম গাজীর স্ত্রীর নাছরিন আক্তার (২০) কে সিজার করলে একটি কন্যা সন্তান হয়। ঐ রাতেই তিনিও মারা যান। গত ৩ দিনে দু’প্রসুতি মায়ের মৃত্যু নিয়ে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাবাসী দ্রুত এই মৃত্যুপুরী শাপলা ক্লিনিক বন্ধ সহ তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছে। শাপলা ক্লিনিকের মালিক তাপস কুমার মিস্ত্রী ভারতে অবস্থান করায় তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ডাঃ আব্দুর রব জানান, রোগীর সিজার করেছি পরবর্তীতে রক্ত বন্ধ না হওয়ায় আরেকটি অপারেশন করে জরায়ু কেটে ফেলে দেয়া হয়। সে সুস্থ ছিল পরে কিডনি ফেল করলে খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়।