ফুলবাড়ীগেট (খুূলনা) প্রতিনিধিঃ
নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন ফুলবাড়ীগেট কেডিএ আবাসিকে প্রতিবন্ধী হাফিজিয়া মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং যে প্রতিষ্ঠানের নাই কোন ছাত্র-শিক্ষক এবং শিক্ষা উপরকরণ সহ কোন কার্যক্রম। প্রকাশ্যে দিবালোকে মাদ্রাসার নামে চলে এক ব্যক্তির চাঁদাবাজির। এমন অনেক অভিযোগ এবং চাঁদা আদায়ের রশিদ হাতে পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে ফুলবাড়ীগেট আলীম মাদ্রসার পিছনে কেডিএ আবাসিকের জমি দখল করে কোন রকম একটি ঝুপড়ি ঘর তুলে সামনে সাইনবোড দেওয়া হয়েছে প্রতিবন্ধী হাফিজিয়া মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং। দরজায় তালা ঝুলছে ভিতরে রয়েছে একটি সোয়ার খাট এবং একটি ষ্টান ফ্যান। প্রতিষ্টানের সামনে কয়েকটি দোকানে মাদ্রসা সম্পর্কে জানতে গেলে তারা জানান এখানে মাদ্রাসার সাইনবোর্ড দেখলেও তারা এর কার্যক্রম বা ছাত্র-ছাত্রী কখন দেখিনি। তবে মাঝে মধ্যে দুই একজন অন্ধ ছেলে-মেয়েকে দেখাযায় কিছু দিন পরে তাদের আর দেখা যায়না। সামনের এক দোকানদার শহিদুল ইসলাম বলেন মাদ্রাসা বলছেন অথচ আমাদের ছেলে-মেয়েদের আরবি শিক্ষা দিতে পারছিনা এর বেশি আর কিছু বলতে পারবো না।
খোজখবর নিয়ে জানাগেছে, ফুলবাড়ীগেট প্রতিবন্ধী কল্যাণ ও পুর্নবাসন সংস্থার পরিচালনায় চলছে এই প্রতিষ্ঠান। যার সভাপতি মোমরেজ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ লোকমান হাওলাদার। এই দু’জন আবার মাদ্রাসার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মাদ্রাসার সাথে নেই কোন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এই দুই আলোচিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংস্থার নামে বিভিন্ন সময়ে বালুর মাঠে মেলা এনে মেলার মাঠ থেকে উঠা টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। গত বছর এই সংস্থার উন্নয়নের লক্ষে সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোঃ লোকমান হাওলাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ফুলবাড়ীগেট মীরেরডাঙ্গা বালুর মাঠে ১৮ডিসেম্বর থেকে মাসব্যাপী চলে বিজয় মেলা। যেখান থেকে প্রাতি রাতে সংস্থাকে ৩ হাজার করে টাকা দেওয়া হতো বলে জানিয়েছিলেন মেলার মাঠ মালিক মনির ভুইয়া। অভিযুক্ত লোকমান হাওলাদার মেলার টাকার হিসাবে কাউকে দিতে পারিনি। এই প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হাওলাদারের প্রতিষ্ঠিত প্রতিবন্ধী হাফিজিয়া মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং যিনি নিজে স্বাক্ষর করে মাদ্রাসার নামে চাঁদায় করছে। এছাড়া যে রশিদে চাদা আদায় করা হচ্ছে সেই রশিদের দেওয়া রেজিষ্ট্রেশন নাম্বারটিও অন্য প্রতিষ্ঠানের । কেডিএর জায়গায় অবৈধভাবে দখল করে ঘর তুলে কোন অনুমোদন ছাড়াই সাইবোর্ড দিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিষ্ঠানের নামে চাঁদাবাজী করায় এলাকায় ব্যাপোক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিয্ক্তু লোকমানের সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিষ্ঠানের নামে চাঁদা আদায় এবং শিক্ষার্থী এবং অবকাঠামো না থাকার কথা স্বিকার করেন। কিন্তু চাঁদা আদায়ের কথা বলা হলে তিনি তার ভোল্ট পাল্টে কয়েকদিন আগে শিক্ষার্থীরা চলে গেছেন বলে জানান। মেলার টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরবর্তিতে একধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এই প্রতিষ্ঠানের পাশ^বর্তি অপর একটি সামাজিক সংস্থা জাতীয় দুষ্টিহীন ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সংস্থা(এনএসবিপি) এর নির্বাহী পরিচালক মাইন উদ্দিন চৌধরী বলেন প্রতিবন্ধীদের নিয়ে তারা চাঁদাবাজী এবং ভিক্ষাবৃত্তি করছে। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে তাদের কোন কার্যক্রম নাই বল্লে চলে। মাদ্রাসা সম্পর্কে বলেন কেডিএর জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে ঝুপড়ি ঘর তুলে ছাত্র-শিক্ষক ছাড়াই কোন স্বিকৃতী এবং অবকাঠমোগত পরিবশে ছাড়াই মাদ্রসা নাম দিয়ে তারা কালেকশন করছে শুনেছি।
কেডিএ নিবিড় আবাসিক সোসাইটি’র একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন কেডিএর জায়গা অবৈধভাবে দখল করে ২০০৭ সালে খানজাহান আলী থানা প্রতিবন্ধী কল্যাণ ও পুর্নবাসন সংস্থার নামে পরবর্তিতে ২০১৪ সালে প্রতিবন্ধী হাফিজিয়া মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং নামে জায়গা দখল করে প্রতিষ্ঠানের পার্শবর্তি জায়গা দখল করে বস্তির মতো বসত ঘর তুলে এখানে মাদকের বিকিকিনি চলে।
স্থানীয় জনপ্রতিিিনধি কেসিসি ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, যারা জুয়ার মাঠ চালায় তারা কিভাবে মাদ্রাসা চালায় এটা আমার জানা নাই। তিনি আরো বলেন ফুলবাড়ীগেটে সুনামধন্য মাদরাসা বা লিল্লাহ বোর্ডিং এর অভাব নাই যে নতুন করে এখানে এগুলোর দরকার আছে। এটা সম্পুন্ন নিজেদের স্বার্থের জন্য নাম ধর্মীয় প্রতিষ্টানের নাম ব্যবহার করে ফায়দা লুটছে।