নগরীতে মাদকদ্রব্য পণ্যাগারের পরিদর্শক মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ

0
100

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নগরীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক শেখ মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও বিক্রিসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ২০১১ সালে ওই কর্মকর্তা ফেনসিডিল বিক্রির সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছিলো। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় চাকরিচ্যুত হয়ে আবার তদবীরের মাধ্যমে স্বপদে ফিরে পূর্বের ন্যায় অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে এ ব্যাপারে পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান রোববার (২১ আগষ্ট) এ প্রতিবেদককে বলেন, ওই সময় এক মাদক ব্যবসায়ীকে ফেনসিডিলসহ আটক করাকে কেন্দ্র আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে ওই মামলা থেকে আদালত থেকে আমি অব্যহতি পেয়েছি। তিনি কোন অপকর্মের সাথে জড়িত নয় বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: মিজানুর রহমান বলেন, পরির্দশক মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগে বিষয় জিজ্ঞাসা করেছি। সে বলে এখন ভালো হয়ে গেছি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
খুলনা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল পটুয়াখালী ত্যাগ করে। ওইদিন রাতে তার নিজ জেলা বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের কাঁঠালতলা এলাকায় মন্টু নামের এক ফেনসিডিল বিক্রেতাকে ৫ বোতল ফেরসিডিলসহ আটক করে। পরে ১০ হাজার টাকা উৎকোচের বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে বাগেরহাট জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা তার বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। ওই সময় মামলা দায়েরের পর পুলিশ শেখ মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে এবং সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ঘটনার পর তার বিরুদ্ধে ওই সময় বিভাগীয় মামলা হয়। এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ৪(২) (বি) বিধি অনুযায়ী তাকে ৫ বছরের জন্য পদোন্নতি স্থগিত ও ৫ বছরের জন্য বেতন স্কেলের দক্ষতাসীমা অতিক্রম বন্ধ রাখার শাস্তি প্রদান করা হয়। বর্তমানে নগরীর পুলিশ সুপারের কার্যালয় সংলগ্ন মাদকদ্রব্য পণ্যাগারের পরিদর্শক হিসাবে কর্মরত থেকে সন্ধ্যার পরে তার অফিসেই ফেনসিডিলসেবীদের নিয়ে আসর বসায়। এর আগে বরিশালে গৌরনদী উপজেলায় কর্মরত থাকা অবস্থায় সেখানেও তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।