টাইমস ডেস্ক:
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে করা আপিল আবেদনের শুনানি দ্বাদশ দিনের মতো শুরু হয়েছে। এর আগে গত ১ আগস্ট আজ বুধবার (৮ আগস্ট) পর্যন্ত খালেদার আপিল শুনানি মুলতবি করেছিলেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করছেন আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী।
মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের পাঁচ মাসের মাথায় গত ১২ জুলাই হাইকোর্টে করা এ আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। এই মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিচারিক আদালত। এরপর থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন তিনি।
ওই সাজার বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট থেকে চারমাসের জামিন পান খালেদা, যা আপিল বিভাগে বহাল থাকে। ওই জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই, এরপর ২৬ জুলাই। এর পর ২৬ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সর্বশেষ ৮ আগস্ট পযন্ত জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে, অন্য মামলা পরোয়ানা থাকায় তিনি কারামুক্তি পাননি।
গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়ার চার মাসের জামিনের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। এরপর গত ১৬ মে তা বহাল রেখে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পরে খালেদা জিয়া ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকোর্টে আপিল মামলার নিষ্পত্তিতে আপিল বিভাগের আদেশ পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদন মুলতবি রেখে আপিল বিভাগ বলেন, খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ না হলে সময়ের প্রার্থনা বিবেচনা করা হবে। এর পর ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয় আপিল নিষ্পত্তির জন্য।
এর আগে দণ্ডের রায় ঘোষণার ১১ দিন পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি তারা ওই আবেদন করেন। ২২ ফেব্রুয়ারি সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ এবং অর্থদণ্ড স্থগিত করে নথি তলব করা হয়।