তথ্য বিবরণী : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, দেশের জিডিপিতে মৎস্য সেক্টর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সকল মাছের উৎপাদন বেড়েছে। দেশ আজ মাছ ও মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, আগামীতে ইলিশের উৎপাদন পাঁচ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। বিজ্ঞান ভিত্তিকভাবে মাছ চাষ করলে উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে। মাছ চাষের মাধ্যমে বহু জনগণের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি শুক্রবার দুপুরে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটার চক শৈলমারী কানাইডাঙ্গা এনকে ফিডস এন্ড ফার্নিংয়ে আধা নিবিড় পদ্ধতিতে চিংড়ি আহরণের উদ্বোধন ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতের সহকারী হাই কমিশনার খুলনার রাজেশ কুমার রায়না, খুলনা মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক রণজিৎ কুমার পাল এবং বটিয়াঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল ইসলাম খান। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশিষ চৌধুরী। স্বাগত জানান এনকে ফিডস এন্ড ফার্নিং এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর প্রফুল্ল কুমার রায়। সভা পরিচালনা করেন প্রফুল্ল কুমার সরকার। খুলনা মৎস্য অধিদপ্তর এবং এনকে ফিডস এন্ড ফার্নিং যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এসময় মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ এর উপপরিচালক আব্দুল অদুদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু ছাইদ, মৎস্য চাষি, চিংড়ি চাষি ও মৎস্যজীবীসহ স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এই পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করলে প্রতি হেক্টরে উৎপাদন প্রায় ছয় হাজার কেজি। বিকেলে মন্ত্রী খুলনা জেলার ডুমুরিয়া চক অসানখালীতে বুল-কাফ রিয়ারিং ইউনিট কাম মিনিল্যাব খুলনার নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে কৃত্রিম প্রজনন শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরে প্রাণিসম্পদকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কারণে দুধ, ডিম, এবং মাংসের উৎপাদন বেড়েছে। এর আগে মন্ত্রী বুল-কাফ রিয়ারিং ইউনিট কাম মিনিল্যাব খুলনার নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন এবং বিসিএস (প্রাণিসম্পদ) এসোসিয়েশনের সভপতি ডাঃ মোঃ মাহবুব আলম। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক। স্বাগত জানান প্রাণিসম্পদ খুলনা বিভাগের উপপরিচালক কল্যাণ কুমার ফৌজদার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন প্রকল্প পরিচালক ডাঃ মোঃ বেলাল হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য সরদার আবু সালেহ এবং খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ ফারুক আহমেদ।