ফুলবাড়ীগেট(খুলনা) প্রতিনিধি: নগরীর খানজাহান আলী থানার গিলাতলা ও দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর গ্রামের দুই পরিবারের দ্বন্দে তুচ্ছ ঘটনায় গিলাতলার চার জনকে মারপিট করে গুরুতর আহত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল দুই গ্রামবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। এ সময় গিলাতলার বাড়ী হওয়ায় বারাকপুরে থাকা কয়েকজনের বসতবাড়ী ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যে কোন মুহুর্তে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। ঘটনাস্থলে ফুলতলা থানা পুলিশ ও খানজাহান আলী থানা পুলিশ পরিদর্শন করে পুলিশ মোতায়েক করেছে। গুরুতর আহতদেরকে ফুলতলা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো ভর্তি করা হয়েছে।
জানাগেছে, গিলাতলা দঃ পাড়া সালাউদ্দিনের ছেলে শামসুর রহমানের সাথে বারাকপুর গ্রামের দেবু কালামের মেয়ে রুপালীর বিবাহ হয় বছ বারাকপুর গ্রামের দেবুকালামের মেয়ে রুপালীর বিবাহ হয় বারাকপুর গ্রামের দেবুকালামের মেয়ে রুপালীর বিবাহ বছর চার-পাঁচ আগে। বিবাহের পর থেকে শামসুরের স্ত্রী রুপালী বেপরোয়া চলাফেরায় উভয় পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্ন দেখাদেয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বেশ কয়েক বার সালিশীও করে সমঝোতার চেষ্টা করেছেন। সম্প্রতি শামসুরের স্ত্রী রুপালী কাউকে কিছু না বলে বাপের বাড়ি চলে যায়। গত ১৪ এপ্রিল শনিবার শামসুরের শ্বশুর দেবু কালাম মোবাইলে তার বিয়াই সালাউদ্দিনকে তার পুত্র বধুকে নিয়ে যেতে বললে রুপালীর শশুর সালাউদ্দিন চার-পাঁচ জন লোক নিয়ে বারাকপুরে পুত্রবধুকে আনতে গেলে তাদের উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহত গিলাতলা রুপালীর দেবর মোস্তাকিন(২১), এই গ্রামের সুলতানের ছেলে রুবেল(২২), মৃত মতলেবের ছেলে জাহাবুদ্দিন(২৮) ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এম ও ডাঃ মিজানুর রহমান।
গিলাতলাবাসীর মধ্যে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গতকাল ১৫ এপ্রিল সকাল থেকে লাঠিসোটা নিয়ে বারাকপুর খেয়া ঘাটে অবস্থান করতে থাকে এবং বারাকপুরের লোকজন গতকাল বেলা ১০ টার দিকে মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে লোকজন একত্রিত করে খেয়া চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় উভয় গ্রামের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । বেলা সোয়া ১১ টার দিকে দিঘলিয়া থানার একটি ফোর্স টলারে করে গিলাতলা খেয়াঘাটে এসে বেপরোয়া আচরণ করলে উত্তেজন আরো বৃদ্ধি পায়। খবর পেয়ে খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আটরা গিলাতলা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মনিরুল ইসলাম, বারাকপুর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন খানজাহান আলী থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার স.ম রেজোয়ান, ইউপি সদস্য খান হাফিজুর রহমান, মোল্যা আলী আহম্মেদ, মোঃ খলিলুর রহমান বেলা ১২ টার দিকে গিলাতলা খেয়াঘাটে সমঝোতার জন্য বৈঠকে বসেন। সমঝোতার বৈঠক চলাকালীন সময়ে গিলাতলার টলার চালক কাশেম খানের ছেলে কাইয়ুমকে বেধড়োক পিটিয়ে যখম করে বারাকপুরের লোকজন। এ সময় তারা বারাকপুরে বসবাস রত গিলাতলা গ্রামের সিদ্দিক আলীসহ বেশ কয়েক জনের বসতঘর ভাংচুর করে বলে স্থানিয়রা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় বারাকপুর গ্রামবাসী সাত আটটি টলার নিয়ে নদীর এপারে এসে হামলা করার চেষ্টা করলে বারাকপুর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন তা প্রতিহত করেন । এ ঘটনায় শনিবার রাত থেকে বারাকপুর খেয়াঘাট বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ লিয়াকত আলী ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন তুচ্ছ ঘটনায় নদীর এপার ও ওপারের মধ্যের দুই গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করেছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। আজ সোমবার খেয়াঘাট চালু সহ সমস্যা সমাধানে বৈঠন অনুষ্ঠিত হবে।#