‘দাকোপ-বটিয়াঘাটা এলাকার অবহেলিত মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে আমি নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই। এই এলাকার মাটি বাতাশের সাথে আমার বেড়ে ওঠা। আমি তাদের হৃদয়ের আর্তনাথ শুনেছি। এলাকার মানুষের স্বাস্থ, শিক্ষা,বাসস্থান, সুপেয় পানির ব্যবস্থাসহ তাদের উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা প্রদান আমার দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন। মানুষ পরিবর্তন চায়,গতানুগতিক ধারা থেকে বেড়িয়ে আসতে চায়। এখন তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর যুগ,চারিদিকে তারুণ্যের জয়গান। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমার অনুপ্রেরনা। তিনিও পরিবর্তন ও সৃষ্টিশীল নতুন ধারার পক্ষে। সাধারণ মানুষের এমন প্রত্যাশা আমাকে রাজনীতিতে প্রবেশে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’
শনিবার অনলাইন দৈনিক ‘খুলনা টাইমস’র সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার খারাবাদ বাইনতলার নারায়নপুর গ্রামের প্রয়ত বিরেন্দ্র নাথ অধিকারীর পুত্র শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল। বিরেন্দ্র নাথ অধিকারী এঅঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি ও সমাজ সেবক হিসেবে পরিচিত। আলোচিত এই স্বাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন সাংবাদিক সুমন আহমেদ।
শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল দীর্ঘদিন দাকোপ-বটিয়াঘাটা এলাকায় নিয়তিম দান-খয়রাতসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন। তিনি যেখানে যাচ্ছে সেখানেই শত শত সাধারণ মানুষের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ার মতো। ‘রাহুল’ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী এমন খবরে প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ এলাকার ভোটারদের মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কেননা রাহুলের পরিবারের রয়েছে ক্লিন ইমেজ। দীর্ঘদিন ধরে নিরবে নিভৃতে দাকোপ-বটিয়াঘাটা এলাকার মানুষের ভাগ্যো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন এই তরুণ শিল্পপতি ও রাজনীতিক।
নির্বাচন করবেন কি না জানতে চাইলে ? শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল খুলনা টাইমসকে বলেন,‘আমি এলাকার মানুষের সুখে-দু:খে সব সময়ে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। যেহেতু রাজনৈতিক স্রোতধারায় রয়েছি, সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে চাই, সেহেতু নির্বাচনের প্রত্যাশাতো থাকবেই।’
মনোনয়ন প্রসঙ্গে শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল,‘আমিসহ আমাদের পরিবার জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৃণমুলের একজন সদস্য। এখানকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিদের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। তারা দীর্ঘ দিন গতানুগতিক ধারায় রাজনীতিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। কিন্তু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেনি। ‘আমরা বটিয়াঘাটা-দাকোপ এলাকার মানুষ যেখানে ছিলাম সেখানেই পড়ে আছি। এখনো আমাদের প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে হচ্ছে, একটু ভালভাবে জীবন-যাপনের জন্য।’
‘এখন তথ্য প্রযুক্তির যুগ। মানুষ নতুন কিছু বা পরিবর্তন চায়। আর একমাত্র তরুণরাই সাধারণ মানুষের মনের ভাষা বুঁঝতে পারে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা একজন সৃষ্টিশীল মানুষ। তিনিও নতুনধারা বা পরিবর্তনের পক্ষে। বিশ্বনন্দিত নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আমার এলাকাবাসীর প্রেরণায় আমি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, তারুণ্য ছাড়া বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধশীল দেশে পরিনত করা সম্ভব নয়। জননেত্রী শেখ হাসিনাও এটি বিশ্বাস করেন। এর পরও দল যাকে মনোনয়ন দিবে আমি তার পক্ষে কাজ করবো।