নিজস্ব প্রতিনিধি :
খুলনার দাকোপ উপজেলার কামারখোলা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ননীগোপাল মাঝির (মন্টু) স্ত্রী পরকীয়ার ঘটনায় স্বামীর পিটুনিতে গুরুতর আহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সুত্রে জানা যায়, ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানের গাড়ি চালক কামারখোলা গ্রামের অধিবাসী নিউটন সরকারের সাথে ইউপি সদস্য ননীগোপাল মাঝির স্ত্রী দুই সন্তানের জননী নুপুর মাঝির (২৯) গোপন সম্পর্ক গড়ে ওঠে। লোকমুখে খবরটি শুনে ইউপি সদস্যের মনে সন্দেহের দানা বাঁধতে শুরু করে। সে সব সময় ঘটনার সত্যতা উন্মোচনের জন্য সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। ইতোমধ্যে গত বুধবার (১৩ জুন) দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় ইউপি সদস্য বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে স্ত্রী ও স্ত্রীর প্রেমিককে একসাথে ঘরের মধ্যে দেখে উভয়কে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে।
বর্তমানে নুপুর মাঝি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিউটন সরকারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে নুপুরের পিতা প্রদীপ বাইন খুলনা টাইমসকে বলেন, আমার মেয়ে যদি অপরাধ করে থাকে ,তাকে ছেড়ে দিয়ে আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে পারত। কিন্তু এমনভাবে মারাটা তার কি উচিৎ হয়েছে?
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডা. মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, নুপুর মাঝির দু’হাত ভেঙ্গে গেছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থান ফেটে রক্ত ঝরছে। নিউটনের বাম হাত ভেঙ্গে গেছে ও মাথা কেটে গেছে।
ইউপি সদস্য ননীগোপাল মাঝির (মন্টু) মুঠোফোনে খুলনা টাইমসকে বলেন, আমার স্ত্রী ও তার প্রেমিককে (নিউটন) একাধীকবার মেলামেশা করতে দেখাতে পাই। সেদিন তাদের দু’জনকে একঘরে দেখে আমার জ্ঞানশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাই তাদের দু’জনকে মারধোর করে থাকি। তিনি আরও বলেন, আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে সে সময় কী করত? আমি স্বীকার করি মারটা একটু বেশি হয়েছে।