দাকোপে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জাল ওয়ারেশ কায়েম সনদপত্র প্রদানের অভিযোগ

0
1003

নিজস্ব প্রতিনিধি :
খুলনার দাকোপ উপজেলার কামারখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পঞ্চানন কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে জাল ওয়ারেশ কায়েম সনদপত্র প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে খুলনা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট’র আমলী আদালত “গ” অঞ্চালে ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের অজিত রায়ের ছেলে সুপ্রভাত রায় বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও এক সদস্যসহ চার জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
সুত্রে জানা যায়, প্রতারণার উদ্দেশ্যে জাল দলিল তৈরী করে সঠিক দলিল হিসাবে ব্যবহার করার অপরাধে ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ পেনাল কোর্টে ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন মন্ডলের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। এ মামলায় চেয়ারম্যানসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহাবুদ্দীন চৌধুরীকে নিয়মিত মামলা রুজু করার আদেশ দেন। আদেশ মোতাবেক উক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দাকোপ থানায় মামলা হয়েছে, মামলা নং-১৩। আরও জানা যায়, উপজেলার শ্রীনগর মৌজা’র কালিনগর এসএ খতিয়ান নম্বর ৬২৮ এবং ২৩৭৮, ২৬২৯ এসএ দাগ নম্বরে জমির পরিমান .৪৭ একর। এ মামলার বাকি আসামীদের নাম কালিনগর গ্রামের মৃতঃ অভিলাস রায়ের ছেলে খোকন রায়(৪০), কৃষ্ণপদ রায়(৪৫), অজিত রায়, ইউপি সদস্য স্বপন কুমার বাছাড়, ভারপ্রাপ্ত সচিব দীপক রায়।
চেয়ারম্যানের ওয়ারেশ কায়েম সনদপত্র সুত্রে, স্থানীয় ইউপি সদস্য স্বপন কুমার বাছাড়ের সুপারিশে গত ২১ জানুয়ারি ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের মৃতঃ অভিলাস রায়ের তিনপুত্রের নামে উক্ত সনদ প্রদান করা হয়। একই দাগ নম্বরে ২৮ এপ্রিল দ্বিতীয় বার মৃতঃ কালিপদ রায়ের ৫ পুত্রের নামে ওয়ারেশ কায়েম সনদপত্র প্রদান করেন চেয়ারম্যান।
মামলার বাদী সুপ্রভাত রায় বলেন, আমার পৈত্রিক সম্পত্তি’র উপর দিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ওয়াপদা রাস্তার সুরক্ষা বাঁধ নির্মাণ হচ্ছে। সেই হিসেবে আমি এলএ শাখায় ভূমি অধিগ্রহন বাবদ ক্ষতিপূর্ণের টাকা পাবো। টাকা নেওয়ার জন্য সেখানে আবেদন করে দেখা গেছে আমার সম্পত্তি অন্য একজনের নামে চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের সীল প্যাডে জাল ওয়ারেশ কায়েম সনদপত্র প্রদান করেন।
বিষয়টি জানার জন্য কামারখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পঞ্চানন কুমার মন্ডলের সাথে একাধীকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কোন সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি।