নিজস্ব প্রতিবেদক,খুলনাটাইমস :
খুলনার দাকোপ উপজেলার বাজুয়া ইউনিয়নে এখনও বিতরণ করা হয়নি ঈদুল আযহা উপলক্ষে বিতরণকৃত ভিজিএফ’র চাউল।
এলাকাবাসি জানান, এক সপ্তাহেরও আগে ঈদুল আযহা উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার গরিব ও দুঃস্থদের মধ্যে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ শুরু করেন। এই কর্মসূচির আওতায় বাজুয়া ইউনিয়নের প্রতিপরিবারে ১৮ কেজি করে চাল দিয়েছিল দায়িত্বশীলরা। কিন্তু সরকারের নিয়মানুযায়ি ২০ কেজি চাউল শুধু মুসলিম পরিবার জন্য বরাদ্দ নয়। এটি হিন্দু, মুসলিম সকল ধর্মের দুঃস্থ মানুষ এ সহযোগিতা পেয়ে থাকে। খবর নিয়ে জানা যায়, বুধবার (২২ আগষ্ট) ঈদ উদযাপিত হওয়ার পূর্বে উপজেলার চালনা পৌরসভাসহ আটটি ইউনিয়নে ঈদের চাল যথাসময়ে বিতরণ করা হলেও বাজুয়া ইউনিয়নে বিতরণ কাজ সম্পন্ন হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, ঈদ হয়ে যাওয়ার পর প্রায় এক সপ্তাহ হতে চললো কিন্তু এখনও আমরা ঈদের চাল পাইনি। তারা আরও জানান, ক্ষমতাশীনদলের একটি বিশেষ জনসভায় লোক হাজির করানোর জন্য ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশেরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছে বাজুয়ার জনসভায় উপস্থিত না হলে এ চাল দেওয়া হবে না এবং তালিকা থেকে নাম কেটে দেওয়া হবে।
০৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সঞ্জয় মন্ডল মুঠোফোনে এমন কৌশলে জনসভায় লোক হাজিরের কথা অস্বীকার করে খুলনাটাইমসকে বলেন, আমরা ইউনিয়নবাসিকে জনসভায় যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ করেছিলাম। আর বলেছিলাম সরকারের অনুদান নিতে হলে সরকার দলের সভায় উপস্থিত হতে হবে।
এ বিষয়ে ০৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দীনবন্ধু মন্ডলের ভাষ্যমতে, ঈদের আগে মুসলিম ভাই-বোনদের মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়েছে। আগামী বুধবার হিন্দু ও খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের পরিবারের মাঝে ভিজিএফ’র চাউল বিতরণ করা হবে।
বাজুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উৎপল দাশ মুঠোফোনে খুলনাটাইমসকে বলেন, খাদ্যগুদাম থেকে চাউল পেতে দেরি হওয়ায় ঈদের আগে শুধুমাত্র মুসলিম পরিবারের মাঝে চাউল দেওয়া হয়েছিল। আর বাকি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মঙ্গলবারে (২৮ আগষ্ট) দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, চাউল বিতরণে বিলম্ব হওয়ার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছিল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মারুফুল আলম খুলনাটাইমসকে বলেন, সব ইউনিয়ন থেকে জানিয়েছে ভিজিএফ’র চাউল বিতরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যদি বাজুয়া ইউনিয়নে বিতরণ না করে থাকে তাহলে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।