দক্ষিণাঞ্চলের চার জেলায় বোরো আবাদে ব্লাস্টের উৎস্য দশ জাতের ধানের বীজ

0
718

কাজী মোতাহার রহমান:
দক্ষিণাঞ্চলের চার জেলায় এবারে বোরো ধান আবাদে ব্লাস্টের উৎস্য দশ জাতের বীজ। জেলাগুলোতে ২৬২ হেক্টর জমিতে ব্লাস্ট নামক রোগ আক্রমণ করে। এতে উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হবে। ব্লাস্টের উৎস্য হিসেবে দশ জাতের বীজকে সনাক্ত করা হয়েছে। এ অঞ্চলের জেলাগুলো হচ্ছে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও নড়াইল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের স্থানীয় কার্যালয় থেকে গত বুধবার অধিদপ্তরের সরেজমিন উইং পরিচালকের কার্যালয়ে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক নিত্য রঞ্জন বিশ্বাসের পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খুলনায় ২৩৭ হেক্টর, বাগেরহাটে ২৫ হেক্টর জমিতে ব্লাস্ট আক্রমণ করে। এ আক্রমনের পেছনে উৎস্য হিসেবে বলা হয়েছে, বিএডিসি’র ব্রি ধান-২৮, ব্রি ধান-১০, ব্রি ধান-৫৮, ব্রি ধান-৬৭, বেসরকারি কোম্পানির হীরা-৪, তেজগোল্ড, সিনজেনটা-১২০১, সিনজেনটা-১২০৩ ও ময়না জাতের ধান। স্থানীয় অপর একটি সূত্র উল্লেখ করেছে, সাতক্ষীরার তালা, কলারোয়া, নড়াইলের কালিয়া ও লোহগড়ায় ৩৪ হেক্টর জমিতে ব্লাস্ট আক্রান্ত হয়।
অতিরিক্ত পরিচালক জানান, খুলনার ডুমুরিয়া ও অন্যান্য স্থানে আক্রান্ত হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। ব্লাস্টের ক্ষতিকারক দিকগুলো বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। নড়াইল জেলার উপ-পরিচালক চিন্ময় রায় ও সাতক্ষীরা জেলার উপ-পরিচালক আব্দুল মান্নান জানান, ব্লাস্টে আক্রান্ত জমির মালিকদের নাটিভো, এডিফেন নামক ছত্রাক নাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের কর্মকর্তাদের পরিদর্শন শেষে ছত্রাক নাশক ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।
এ অঞ্চলের চার জেলায় ২ লাখ ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, গেল বছর উল্লিখিত চার জেলায় ৯৬৮ হেক্টর জমিতে ব্লাস্ট আক্রমন করে। আক্রান্ত উপজেলাগুলো হচ্ছে সাতক্ষীরার আশাশুনি, কলারোয়া, উপজেলা সদর, নড়াইলের কালিয়া, লোহাগড়া, খুলনার ডুমুরিয়া, ফুলতলা, বটিয়াঘাটা। গেল বছর ৬৪৫জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যশোরের অভয়নগর, কেশবপুর ও মণিরামপুর উপজেলায়ও ব্লাস্ট আক্রমন করে।#