তালা প্রতিনিধি :
তালা ও পাটকেলঘাটায় থ্রি-হুইলার মাহেন্দ্র,ইজি বাইক ও মটর ভ্রান চালকদের দৌরাতœ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নির্দিষ্ট কোন স্ট্যান্ড বা স্টপেজ না থাকায় তারা যত্র-তত্র তাদের বাহন রেখে সারাক্ষণ ব্যস্ততম এলাকাগুলিতে জ্যামের সৃষ্টি করছে। প্রতিদিন তাদেও অবাধ বিচরনে ছোট-খাট দূর্ঘটনা লেগেই আছে। এছাড়া তাদেও দ্বারা যাত্রী হয়রানি থেকে শুরু করে যত্রতত্র পার্কিং,বিভিন্ন যানবাহনের চালক,হেলপার ও কন্ট্রাকটরদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুষ্ঠু যাতায়াতে যাত্রী সাধারণের পাশাপাশি এলাকাবাসী মহাসড়ক ও ব্যস্ততম এলাকাগুলি থেকে তাদেও উচ্ছেদে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
যাত্রী সাধারণের প্রতিদিনের দুর্ভোগের চিত্র থেকে জানাযায়,সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে মহাসড়কের পাটকেলঘাটা ওভারব্রীজের উপর ও তালা সদরের ব্যস্ততম এলাকা বাজার তিন রাস্তার মোড় এলাকা দখল করে তারা তাদেও অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছে। প্রসঙ্গত,তালার ঐ এলাকায় আগে থেকে রয়েছে ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল স্ট্যান্ড,ইঞ্জিন ভ্যান স্ট্যান্ড ও পরে তারা দখলে নিয়ে বিড়ম্বনা আরো বাঁড়িয়ে দিযেছে। এসব অবৈধ মহেন্দ্র নামক যন্ত্র দানবের বাড়াবাড়িতে শুধুমাত্র পাটকেলঘাটা এলাকায় সড়কের ঐ এলাকা পাড়ি দিতে পথচারীদের কখনো কখনো ২০/৩০ মিনিট সময় লাগে। বিড়ম্বনায় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা অনেক সময় নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিষ্ঠানে পৌছাতে পারেননা।
শুধু এখানেই শেষ নয়,তাদেও উৎপাতে সড়কের বিবিন্ন স্থানে প্রতিদিন ছোট-বড় দূর্ঘটনা লেগেই আছে। স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীদেও ম্যানেজ করে গড়ে তোলা তাদের কথিত স্ট্যান্ড থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন রুটের লোকাল ও পরিবহনের সাথে পাল্লা দিয়ে অবৈধ ভাবে সিরিয়াল করে শতাধিক মাহেন্দ্র, থ্রি হুইলার। তারা বাসের সাথে তাল মিলিয়ে পাটকেলঘাটা থেকে সাতক্ষীরা ও তালা থেকে পাটকেল ঘাটা,কপিলমুনি থেকে তালা কিংবা আঠারো মাইল থেকে তালা অভিমূখে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছুটে চলছে তারা। এসব মাহেন্দ্র সহ থ্রি-হুইলারের অধিকাংশেরই নেই কোন ফিটনেস,রুট-পারমিট,ড্রাইভিং লাইসেন্স,ইন্সুরেন্স সহ কোন কাগজ পত্র। এরপরও এক অদৃশ্য ছায়ায় তারা ধরাকে সরাজ্ঞান করে ছাড়ছে। সূত্র জানায়,এসব অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনায় তাদের লোকাল প্রশাসনকে দিতে হয় নিয়মিত মাসোহারা। তাদের নিয়োজিত স্টাটাররা বাহন প্রতি নিয়মিত এসব খাতে চাঁদা উত্তোলন করেন। ব্যাপক সংখ্যক নেই এর বীঁড়ে শ্রমিক সংগঠনের সাথে রয়েছে তাদের সম্পৃক্ততা।
সড়কে তাদের দাপুটে প্রভাবের পরও প্রশাসনের কোন মাথা ব্যথা নেই। সরকার বিভিন্ন সময়ে এদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করলেও এখন পর্যন্ত এদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি তারা কোন সরকারি নির্দেশনা নামানলেও স্থানীয় প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নেয়না তাদের বিরুদ্ধে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,পাটকেলঘাটা ওভারব্রীজ থেকে পাটকেলঘাটা প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তাটুকুর যানজটের কারণ এসব বাহন। এদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে পাটকেলঘাটা থানার মাত্র ৫০ মিটার দূরে কিভাবে মাহেন্দ্র, থ্রি-হুইলাররা তাদের গ্যারেজ বহাল রাখে এমন প্রশ্ন এখন উপজেলাবাসীর মুখে মুখে।
এব্যাপারে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ হোসেন বলেন, মহাসড়কের পাশে মাহেন্দ্র স্ট্যাড থাকা কোন ভাবেই কাম্য নয়। তবে স্ট্যান্ডের পাশের দু’ধারে দোকান গুলোর ব্যবস্থা করতে পারলে যানজট ও দূর্ঘটনা কমে যাবে। মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে যতদ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্যা জাকির হোসেন বলেন,সম্পূর্ণ অবৈধভাবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে তারা মাহেন্দ্র স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছে। এত কারো কাছ থেকে তারা অনুমতি নেয়নি। পাটকেলঘাটা থানা জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি বিশ্বাস শহিদুল ইসলাম জানান, সরকারী জায়গা দখলে করে মাহেন্দ্র স্ট্যান্ড করা হয়েছে এর কোন অনুমতি নেই। আর এসব অবৈধ যানের জন্য ওভারব্রীজে দূর্ঘটনা লেগেই আছে।
এদিকে পাটকেলঘাটা থানা মাহেন্দ্র শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইউনুছ আলী সরদারের নিকট এব্যাপাওে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সর্বশেষ নিরাপদ যাতায়াতে এলাকাবাসী ও পথচারীরা অবৈধ স্ট্যান্ডগুলি উচ্ছেদে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।