ডোনাল্ড ট্রাম্প চরম মিচকে শয়তান : পীর সাহেব চরমোনাই

0
485

শেখ মোঃ নাসির উদ্দিনঃ

মার্কিন পণ্য বর্জনের ডাকের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি। ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এ আহবান জানিয়েছেন।

পূর্ব ঘোষিত মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির সমাপণী বক্তব্যে তিনি বিশ্বব্যাপী মার্কিন পণ্য বর্জনের আহবান জানান।

এ সময় তিনি জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করার প্রতিবাদে আগামী ১৫ ডিসেম্বর দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মানুষ  পাগল বলতো,সে পাগল নয় ইসলাম বিরোধী ও মিচকে শয়তান। শয়তানের রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য সে উঠে পড়ে লেগেছে।

চরমোনাই পীর আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য তৈরির জন্যই ইহুদিরা ট্রাম্পকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। এখন সে ইহুদিদের এজেন্ট হয়ে কাজ করছে। ইহুদির দাবি পূরণের জন্য অন্যায়ভাবে সে জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করেছে।

তিনি আরও বলেন, জেরুসালেম মুসলমানের। তা কখনোই ইহুদিদের রাজধানী ছিলো না এবং ভবিষ্যতেও তা হতে দেয়া হবে না। সারা বিশ্বের মুসলমান তাদের জীবন দিয়ে ইসলামের প্রথম কেবলা বায়তুল মুকাদ্দাসসহ জেরুসালেমকে রক্ষা করবে।

তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশসহ মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে জেরুসালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষণার আহবান জানান।

আজ (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শেষে মার্কিন দূতাবাসের উদ্দেশে দলীয় প্রধান চরমোনাই পীরের নেতৃত্বে মিছিল বের করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

মিছিলটি শান্তিনগর মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। এতে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে সামান্য ধস্তাধস্তিও হয় সে সময়।

দলের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দীন কর্মীদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন এবং পীর সাহেবব চরমোনাই সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন।

সমাবেশ পরিচালনা করেন মাওঃ নেছার উদ্দিন। মিছিল পূর্ব সমাবেশে অারও বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওঃ সৈয়দ মুসাদ্দেক বিল্লাহ  আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, দলের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ন মহাসচিব অধ্যাপক এটি এম হেমায়েত উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম,  ইন্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওঃ লোকমান হোসেন জাফরী, এইচ এম সাইফুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা মুহম্মদ খলিলুর রহমান, ,যুবনেতা কে এম আতিকুর রহমান, ছাত্র নেতা জি এম রুহুল আমিন  প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।