ডুমুরিয়ায় প্রতারক নান্টু বিরুদ্ধে জালজালিয়াতি’র প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে র‌্যাব

0
684

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : ডুমুরিয়ায় প্রতারক মাসুদ রানা নান্টুর বিরুদ্ধে ভুয়া কাগজপত্রে জমি বিক্রয় ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের তদন্ত করছে খুলনা র‌্যাব-৬ এর একটি গোয়েন্দা টিম। শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে স্বাক্ষীদের বক্তব্য রেকর্ড করেছেন তারা। গত ১৩ নভেম্বর ভুক্তভোগী ওই অসহায় পরিবারটি খুলনা র‌্যাব-৬ সদর দপ্তরে এ অভিযোগটি দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরের মৃত: আব্দুল হালিম হালদারের ছেলে মাসুদ রানা নান্টু একই এলাকার হতদরিদ্র সুশান্ত কুমার পালের দুই পুত্র দিনমজুর সুদীপ পাল ও সুজন পালকে প্রলোভন দেখিয় ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে ২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর ডুমুরিয়া সাব-রেজিষ্টার অফিসে ০.০৪ শতক জমি ১ লাখ টাকায় বিক্রি করে। যা এসএ ১নং খতিয়ানের ডুমুরিয়া মৌজার ৬৫৬/২৪৪৯নং দাগ। ভুমি দাতা মাসুদ রানার বিক্রিত জমির কাগজপত্রাদি সঠিক নয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। যে কারণ ওই গ্রহিতাদ্বয় আজো জমিতে দখল দিতে পারেনি। দীর্ঘ ৬ বছর আগে ১ লাখ টাকায় জমি কিনে দখল না পাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছে ওরা। এ নিয়ে বহুবার এলাকায় সালিশী বৈঠক হলেও কোন সুরাহ হয়নি। অসহায় সুশান্ত পাল জালিয়াত মাসুদ রানার কাছে টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে তাদেরকে ভয়ভীতিসহ জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে। উপায়ন্তুর না পেয়ে হতদরিদ্র সুশান্ত পাল গত ১ নভেম্বর খুলনা র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৬) এর অধিনায়ক বরাবর প্রতারক মাসুদ রানা নান্টুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার সকালে খুলনা র‌্যাব-৬ এর সিপিসি-১ লেঃ কমান্ডার এসএম জাহিদুল কবিরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি গোয়েন্দা টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে স্থানীয় কয়েকজন স্বাক্ষীর বক্তব্য রেকর্ড করেছেন। এ প্রসঙ্গে মাসুদ রানা নান্টু সাংবাদিকদের বলন, ‘আমি ভুল বশতঃ ওই দাগের জমি বিক্রি করেছি। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে ওদের পাওনা ৮০ হাজার টাকা ফেরত দিবে।’ র‌্যাব-৬ জানায়, মাসুদ রানা নাটুর বিরুদ্ধে জালজালিয়াতিসহ প্রতারণা অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে সাব-রজিষ্ট্রি অফিসে খোজ নিয়েছি, সেখান তার বিরুদ্ধে জালজালিয়াতির সত্যতা মিলেছে। এছাড়াও নান্র বিরুদ্ধে র‌্যাব-৬ দপ্তরে আরো ২টি প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। যাহার তদন্ত অব্যহত।