ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি:
খুলনার ডুমুরিয়ার সেই আলোচিত এগারো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার মামলার স্বাক্ষীদের জবানন্দি গ্রহন করেছেন বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীপ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া, রানাই, পাচপোতা, কুলবাড়িয়া ও গোবিন্দকাটি এলাকার অসংখ্য নিরিহী মানুষকে হত্যা, তাদের সম্পদ লুট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষনসহ নানাবিধ অত্যাচারের ঘটনায় অভিযুক্ত ১১জন অত্যাচারীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত যুদ্ধাপরাধী মামলার বিচারকার্য শুরু হয়েছে।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী তারিখে ভুক্তভোগী খর্ণিয়া গ্রামের লিয়াকত গাজী বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। গত ৪ মাস আগে ওই মামলার আসামী আঙ্গারদহ গ্রামের রহিম শেখ, খর্নিয়া গ্রামের আঃ করিম শেখ, সামছুর গাজী, রানাই গ্রামের নাজের আলী ফকির, আবু বক্কার সরদার, রহশন গাজী, শাহাজাহান সরদার, সোহরাব সরদার ও জাহান আলী বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে ডুমুরিয়া থানা পুলিশ। বর্তমান আসামীরা ঢাকার কারাগারে বন্দি রয়েছে। এছাড়া মামলার অন্যতম আসামী খর্নিয়া গ্রামের ওমর ফকির পলাতক রয়েছে এবং আক্কাজ সরদার মারাত্মক অসুস্থ থাকার কারণে পুলিশ তাকে আটক করেনি। ওই মামলার ৪২জন স্বাক্ষীর জবানবন্দি চতুর্থ দফা শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ২২জন স্বাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহন করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিউকিটর মোঃ সৈয়দ হায়দার আলী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমানে দু’টি ট্রাইব্যুনালে যে গতিতে বিচার কাজ চলছে তাতে আমি সন্তুষ্ট। এভাবে চললে দ্রুত সময়ের মধ্যে ন্যায় বিচার পাওয়া যাবে। আইন ও পদ্ধতিনুযায়ী ন্যায়বিচার করতে যতকুটু সময় প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই সময় লাগবে।’ এসময়ে উপস্থিত ছিলেন সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিষ্টার শেখ মুশফিক কবির, ডেপুটি ডাইরেক্টর ও তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তদন্তটিম রানাই জোড়া বকুলতলা, পালপাড়া, ভদ্রদিয়া নলিতের বাড়ি ও শোভনার আলে বাড়ী পরিদর্শন করে। আজ বুধবার মামলার কুলবাড়িয়া ও দক্ষিন গোবিন্দকাটি গ্রামের আরো ২২জন স্বাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহন করা হবে।