টাকা তোলার নতুন কৌশল!

0
418

বেল্লাল হোসেন সজলঃ
ডেটলাইন ৭ আগষ্ট। মঙ্গলবার বেলা ৩টা। খুলনা জলিল টাওয়ার এর সামনে ধর্মশালা মন্দিরের গা ঘেষে ৩জন মহিলা সাথে এক শিশু। সামনে যেতেই অশ্রু সিক্ত কন্ঠে, ভাই বাড়ি যাবো টাকা নাই। কয়টা টাকা দেন। ২জন কিছু গাট্রি বস্তা নিয়ে বসা আর একজন বাচ্চা কোলে নিয়ে দাড়িয়ে আছে। বাড়ি কোথায় আপনার প্রশ্ন করতেই, বল্লো আশাশনি। এখানে আসেছেন কেন? নেই কোন উত্তর। আবার প্রশ্ন করতেই, বল্লো তেরখাদা গিয়েছিলাম রাস্তার কাজ করতে। মনিরুল নামের এক সরদার তাদেরকে তেরখাদা কাজে নিয়ে আসছে। তারপর তাকে আর খুজে পাচ্ছি না। তাই তাকে খুজতে খুলনা আসছে।
নাম তার নুর নাহার, স্বামী মিজানুর সরদার। স্বামী মনিরুল সরদারকে খুজতে তেরখাদা গেছে। অপর ২জন সালমা স্বামী মান্নান সরদার, রিনা স্বামী হুদা সরদার। নুর নাহারকে প্রশ্ন করতেই সালমা, রিনা গাট্রি বস্তা নিয়ে চমপট। নুর নাহার জানান, ৩দিন হয়েছে বাড়ি থেকে এসেছে। ২দিন তেরখাদা এক চাচার বাড়ি আর আজ খুলনা এসেছে। নাবারন সরদার বাড়ি থাকেন তারা। চেয়ারম্যানের নাম জানেন না। আর বাড়ি নাবারন কোথায় তাও ভুলে গেছে নুর নাহার।
কথা বলার এক পর্যায় এক পথচারি তার কথা শুনে প্রতিবেদককে জানান, এনাদের প্রায় খুলনার বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়। সেই পথচারি নুর নাহারকে জিজ্ঞাস করলো, আপনি তো কিছুদিন আগেও এখানে এসেছিলেন। তখনই নুর নাহার তারা হুরা করে চলে গেলো।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এক নুর নাহার নয় খুলনা শহরের বিভিন্ন স্থানে এমন ছদ্ম নামের অনেক নুর নাহার রয়েছে।এরা প্রতিজন পথচারীর কাছ থেকে ১০টাকা ২০টাকা করে নেয়। এভাবেই দিন শেষে ৫’শ,৭’শ টাকা আয় করে থাকে। এরা মানুষের সরলতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সয়ম বিভিন্ন গল্প বলে টাকা তোলে। যাদের কারনে সত্যিকারের অসহায় আর বিপদগ্রস্থ মানুষদের ও কেউ বিশ্বাস করতে চায় না।
বিপ্লব নামের এক ব্যবসায়ী জানান, খুলনায় এদের মত ৩/৪জনের গ্রুপ অনেক রয়েছে। যারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়। তাদের ভাল ভাবে কিছু জিজ্ঞাস করলে তারা পালিয়ে যায়।
প্রান্ত নামের একজন পথচারী জানান এদের সবার স্বামী আশে পাশেই থাকে। তারা মিথ্যা কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলে। শুধু খুলনা শহর নয় খালিশপুর, দৌলতপুর, সোনাডাঙ্গা, শিববাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় এদের বিচারন আছে। এটি টাকা তোলার নতুন এক কৌশল।