মীর খায়রুল আলম:
সাতক্ষীরা জেলার ভারত বাংলা সীমান্তে অবস্থিত দেবহাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নে অবস্থিত টাউন শ্রীপুর নামক গ্রাম। যেটি তৎকালীন বৃটিশ শাসন আমলে সাত জমিদারের বসতি ও বাংলাদেশের প্রথম পৌরসভা। টাউন শ্রীপুর গ্রামে ১৯১৬ সালে কালকাতা হাই কোর্টের এ্যড. বাবু শরৎচন্দ্র রায় চৌধূরীর হাতে প্রতিষ্ঠিত হয় টাউন শ্রীপুর শরৎচদ্র উচ্চ বিদ্যালয়। যা চলতি ইংরেজি সালের দিনগুলো পার করে ১০১ বছরে উপনিত হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৫শতধীক শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছে। ইতোপূর্বে বিদ্যালয়টি বেশ সুনাম অর্জন করেছে। সর্বগুন বিদ্যালয়টি বেশ যশ রয়েছে। তাছাড়া যশোর শিক্ষা বোর্ডও ১ম স্থান অর্জন করেছে বিদ্যালয়টি। সে সময় র্নিমিত দুটি ভবন ভেঙ্গে নতুন ভবন তৈরী করা হয়। বিদ্যালয়টি ঔপনিবশিক শাসন, পাকিস্তানের শাষণ-নিপীড়ন আর স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়সহ তিনকালের স্বাক্ষী হয়। ১৯১৬ সালে যাত্রা শুরু করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেবহাটার ১০১বর্ষ বিদ্যালয়টির বৃহস্পতিবার ২৮ ডিসেম্বর সমাপনি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮ টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পবিত্র কোরআন ও গীতা পাঠের পর শেফত বাক্য পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। অনুষ্ঠানে উৎযাপন কমিটির সভাপতি মুক্তিযাদ্ধা মন্ত্রণালয়ের যুগ-সচিব সলিমুল্লাহ বক্তব্য রাখেন। পরে বর্ণাঢ্য আনন্দর্যালী বের হয়। দিনব্যাপী ক্রীড়া, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম। প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন-সচিব সলিমুল্লাহ, সাবেক শিক্ষক আফসার আলী মাস্টার, দিলিপ কুমার ব্যানার্জি, মিসেস মনিরা বেগম, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল ফজল, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী। বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়র প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষক হযরত আলী, দেবহাটা প্রেসক্লাব সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব, প্রাক্তন ছাত্র ফিরোজ শাহ আলম, ঢাকা থেকে আগত সাবেক ছাত্র আব্দুল মালেক, এড ওহিদুজ্জামান বাচু, ছাত্রী মমতাজ বেগম, বীরমুক্তিযাদ্ধা আব্দুল হক, আব্দুর রউফ প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সঞ্জীব কুমার ব্যানার্জি।