নিজস্ব প্রতিবেদক : চলে গেলেন জনদরদী নেতা, খুলনা ৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা (৬৫)। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫মিনিটে সিঙ্গাপুরে অর্চিডে অবস্থিত মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃর্তু্ হয় বলে পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এদিকে তার মৃর্ত্যুর সংবাদে খুলনার আওয়ামী পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার, আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয়, খুলনা জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ পৃথকভাবে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন।
প্রয়াত এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা ১৯৭৭ সালে প্রথম পৌর কমিশনার নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই একই সময় বর্তমান নবনির্বাচিত কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক পৌর কমিশনার নির্বাচিত হন। সুজা ১৯৮৬ সালে খুলনা-২ থেকে এমপি নির্বাচন করেছিলেন (এরশাদের শাসন আমল)। ১৯৯১, ৯৬ ও ২০১৪ সালে তিন দফায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এই জননন্দীত নেতা। ছিলেন ১৯৯৬ সালে হুইপ।
২০০২ সালে যৌথ বাহিনীর অপারেশন ক্লিনহার্টে গ্রেফতার ও নির্যাতনের শিকার হন। তত্তাবধায়ক সরকার মামলা দিলে প্রবাস জীবন কাটান, ২০০৮ এ প্রার্থী হতে পারেননি একারনে। পরে হাইকোর্ট থেকে খালাস পান। ১৯৯১ সাল থেকে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৮৬ সালে সাংসদ নির্বাচন করাকালীন তিনি মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ছিলেন। ১৯৮৬ সালের পর দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশে জেলা আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত হন।
১৯৭২ সালে শেখ কামাল আবাহনী ক্রীড়াচক্র গঠনকালে ইলিয়াস চৌধুরি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মোস্তফা রশিদী সুজা প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারন সম্পাদক ছিলেন। ইলিয়াস চৌধুরির মৃত্যুর পর তিনি সভাপতি হন আবাহনী ক্লাবের।
খুলনা নাট্য নিকেতনের সভাপতি ছিলেন। তিনি একজন নাট্য অভিনেতাও ছিলেন। তেরখাদার চিত্রা মহিলা কলেজ, দিঘলিয়ার মোস্তফা রশিদী সুজা মহিলা কলেজ, রূপসা মহিলা কলেজ সহ অসংখ্য মাদ্রাসা, মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্হাপন করেছেন এই জনপ্রতিনিধি।
১৯৯৩ সালে পাঠকের কাগজ প্রকাশ করেন, শেখ হাসিনা উদ্ভোধন করেছিলেন পত্রিকাটি। অবশ্য ২০০৬ সালে পত্রিকাটি বন্ধ করে দেয়া হয়। প্রকাশক হিসেবে গত দেড় বছর আগে আবার পাঠকের পত্রিকা নামে নতুন করে একটি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ করেন তিনি। ছেলে সালাউদ্দীন সুকর্ণ এই পত্রিকার সম্পাদক।