গোল করলেন, নাকও ভাঙলেন রুনি

0
397

স্পোর্টস ডেস্ক:
আনন্দ ও বেদনার মতো একটি দিন কাটলো ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ওয়েন রুনির। ডিসি ইউনাইটেডের হয়ে প্রথম গোল করার ম্যাচেই রক্তাক্ত হন তিনি। ম্যাচের শুরুতে গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান আর শেষ দিকে নাক ভেঙে সেলাই করে আবার মাঠে প্রবেশ করেন। তবে তার এ লড়াকু মনোভাব দর্শকের কাছে প্রশংসিত হয়েছে।

তবে মাঠে রক্তাক্ত হওয়া রুনির জন্য এবারই প্রথম নয়। এর আগেও তিনি ২০১৩ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলার সময় সতীর্থ ফিল জোন্সের সঙ্গে সংঘর্ষে কপাল ফেটে গিয়েছিল তার। যার দরুন ১২টি সেলাই পড়েছিল ক্ষতস্থানে। প্রায় এক মাস লেগেছিল সুস্থ হয়ে ছন্দে ফিরতে। এরপর গত মওসুমে এভার্টনে ছিলেন রুনি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে বোর্নমাউথের ডিফেন্ডার সাইমন ফ্রান্সিসের কুনুইয়ের আঘাতে ফের রক্তাক্ত হন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে নিজের অভিষেকের দুই ম্যাচে গোল পাচ্ছিলেন না রুনি। তাই তৃতীয় ম্যাচে গোলের জন্য মরিয়া হয়েছিলেন। তার ফল পেয়েছেন ম্যাচের ৩৩ মিনিটে। তার গোলেই ম্যাচে এগিয়ে যায় ডিসি ইউনাইটেড।

ইংল্যান্ড ছেড়ে এ বছরই যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ডিসি ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছিলেন রুনি। রোববার মেজর লিগ সকার (এমএলএস)-এ কলরাডোর সঙ্গে দলের হয়ে চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নামেন তিনি। কলোরাডোর বিরুদ্ধে ম্যাচের ৩৩ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন রুনি। ডান দিকে বল পেয়ে প্রাক্তন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সতীর্থ টিম হাওয়ার্ডের দুই পায়ের মাঝ দিয়ে জালে পাঠান ৩২ বছর বয়সি স্ট্রাইকার। ৮২ মিনিটে কলোরাডোর হয়ে সমতা ফেরান কেলাইন আকোস্তা। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে নিকি জ্যাকসনের আত্মঘাতী গোলে ফের এগিয়ে যায় ডিসি ইউনাইটেড।

এর পরেই ঘটে বিপর্যয়। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে কর্নার পায় কলরাডো। রক্ষণকে সাহায্য করতে রুনি নেমে আসেন পেনাল্টি বক্সে। সেখানেই বিপক্ষের এক ফুটবলারের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন সাবেক ম্যানইউ কিংবদন্তি। রুনির শুশ্রূষার জন্য কয়েক মিনিট বন্ধও ছিল ম্যাচ। কিন্তু মাঠ ছাড়েননি রুনি। ক্ষতস্থানে সেলাই করে ফিরে আসেন মাঠে।

এদিকে ২-১ গোলে জয়ের পরে ডিসি ইউনাইটেডের ম্যানেজার বেন ওলসেন বলেছেন, রুনি প্রচণ্ড লড়াকু ফুটবলার। এ বারই প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার ম্যাচে রক্তাক্ত হয়েছে রুনি। তিনি আরও বলেন, রুনি শুধু গোলই করেনি, দলকে দারুণ নেতৃত্বও দিয়েছে। ওর কাছ থেকে এটাই আমরা আশা করেছিলাম। এই ছন্দ ধরে রাখতে পারলে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে রুনি।

এদিকে নতুন ক্লাবে গোল করতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত রুনি টুইট করেছেন- ‘ডিসি ইউনাইটেডের হয়ে প্রথম গোল করতে পেরে আমি আনন্দিত।’ সেই সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘নাক ভেঙেছে এবং পাঁচটি সেলাই লেগেছে।’

ডিসি ইউনাইটেডের সমর্থকরাও অভিভূত রুনির দায়বদ্ধতা দেখে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন ৩২ বছর বয়সি ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে সব চেয়ে বেশি গোল করা রুনির। তাদের উদ্বেগ অবশ্য কমছে না। লিগ টেবিলে এই মুহূর্তে সবার শেষে ডিসি ইউনাইটেড। ১৮ ম্যাচে মাত্র ১৭ পয়েন্ট। জিতেছে মাত্র চারটি ম্যাচ। লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা আটলান্টা ইউনাইটেড এফসির পয়েন্ট ২৩ ম্যাচে ৪৭।