নিজস্ব প্রতিবেদক : উপকেন্দ্রে অগ্নিকান্ডের কারনে রাতে একযোগে খুলনার ১২টি ফিডারের আওতাধীন সব এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এক ঘন্টা ১০ মিনিট পর বিকল্প পথে ছয়টি ফিডার চালু হলেও বাকী ফিডারগুলো চালু হতে মধ্যরাত পার হয়ে যায়।
ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানীর আওতাধীন বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১এর আওতাধীন সব ক’টি অর্থাৎ আটটি এবং বিবিবি-৪ এর আওতাধীন ১২টি ফিডারের মধ্যে চারটি ফিডার একযোগে বন্ধ হয়ে যায় রাত ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে। পরে বিকল্প পথে সংযোগ নিয়ে বিবিবি-১এর ছয়টি ফিডার চালু হয় রাত ১২টা পাঁচ মিনিটের দিকে। গভীর রাতে চালু হয় বিবিবি-৪ এর ফিডারগুলো।
গল্লামারী মোহাম্মদনগর ৩৩/১১ কেভি উপ-কেন্দ্রে কর্মরত ওজোপাডিকোর এসবিএ-বি আশরাফুল ইসলাম বলেন, রাত ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে উপ-কেন্দ্রের একটি সার্কিট ব্রেকারের রাইজিং ক্যাবলে আগুন ধরে গেলে তিনি ও সেখানে কর্মরত প্রহরী শেখ শহীদুর রহমান প্রথমেই ফায়ার এক্সটিংগুইশার(অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র) দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। তাদের এ কার্যক্রমে স্থানীয় জনগনও এগিয়ে আসে।
পরে খবর পেয়ে সেখানে টুটপাড়া ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট গেলেও তার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দ্রুত সেখানে পৌঁছেন ওজোপাডিকোর পরিচালক(প্রকৌশল) হাসান আলী তালুকদারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। বিবিবি-১এর কয়েকজন প্রকৌশলীও আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে অংশ নেন।
বিবিবি-১এর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুল হক বলেন, রাত ১২টা পাঁচ মিনিটের দিকে বিকল্প লাইন দিয়ে বিবিবি’র সর্বমোট আটটির মধ্যে ছয়টি ফিডার চালু করা হয়। বাকী ফিডার দু’টি পর্যায়ক্রমে চালু হয়।
বিবিবি-৪এর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মোহাম্মদনগর উপ-কেন্দ্রে আগুন লাগার ঘটনায় বিবিবি-৪এর ১২টি ফিডারের মধ্যে চারটি ফিডার বন্ধ হয়ে যায়। মধ্যরাতে ফিডারগুলো পুন:রায় চালু হয়। তাৎক্ষনিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানাতে পারেননি কর্তৃপক্ষ।