বেল্লাল হোসেন সজলঃ নবজাতক থেকে শুরু করে ৫ বছর বয়সী শিশুরা বারো রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। খুলনা শিশু হাসপাতালে প্রতিমাসে গড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫০ শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, শিশু হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে শিশু রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। জেনারেল হাসপাতালে শিশুর চিকিৎসার জন্য ছয়টি বেড থাকলেও বুধবার পর্যন্ত সেখানে ১৭ শিশু চিকিৎসাধীন ছিল।
জেনারেল হাসপাতালের সূত্র জানান নবজাতক থেকে পাচ বছর বয়সী নিউমোনিয়া, ব্রণ কিউ লাইটিজ, ডায়রিয়া, আমাশয়, কম ওজন, বাথ, অ্যাসফেকসিয়া, অপরিণত বয়সের বাচ্চা, নিওনেটাল জন্ডিস, জন্মগত হার্টে ছিদ্র, থ্যালাসিমিয়া, অপুষ্টি জনিত ও কিডনিতে আক্রান্ত হয়ে শিশু মৃত্যুর হার বাড়ছে। খুলনার পার্শবর্তী জেলা সাতক্ষিরা, নড়াইল, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট ও মংলা থেকে এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য শিশুরা খুলনা শিশু হাসপাতালে আসে। শিশু হাসপাতালের রেকড অনুযায়ী ২০১৭ সালে জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের আগষ্ট পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ হাজার ৭০ জন শিশু মারা যায়। সেই হিসাবে গড়ে ৫৩ জন। জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ শরাফাত হোসাইন জানান, মায়েদের অসচেতনতার কারনেও শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বালিকাবধূ দের গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তান ওজনে কম হচ্ছে। তার দেওয়া তথ্য মতে জেনারেল হাসপাতালে ওষুধের সংকটের পাশাপাশি মূমূর্ষ রোগীদের জন্য ইনকিউভিটর আইসিইউ ও সিসিইউ মেশিন নেই। এ হাসপাতালে শিশুদের জন্য ছয়টি বেড থাকলেও বুধবারে এখানে ১৭ টি শিশু চিকিৎসাধীন আছে। জেনারেল হাসপাতালের সিভিলসার্জন এ এস এম আব্দুর রাজ্জাক গত ৫ সেপ্টেম্বর এক কর্মশালায় উল্যেখ করেন জেলায় প্রতি হাজারে গত বছর গড়ে ১৪ জন শিশুর মৃর্ত্যু হয়। ২০২২ সালে প্রতি হাজারে মৃর্ত্যুর সংখ্যা ১২ তে নামিয়ে আনতে হবে। মা ও শিশু মৃর্ত্যু হার কমাতে হবে। নিয়মিত শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ালে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ সুশান্ত কুমার রায় এ অনুষ্ঠানে বলেন শিশুর মৃত্যুর হার কমাতে স্বাস্থ্য বিভাগের অরগান গুলো কাজে লাগাতে হবে। আন্তরিক ভাবে স্বাস্থ্য সেবা দান করায় নারী পুরুষের গড় আয়ু বেড়েছে।