খুলনায় ১০ জামায়াত-শিবির কর্মী আটক

0
417

নিজস্ব প্রতিবেদক: খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় নাশকতার পরিকল্পনা ও সরকারবিরোধী বৈঠক করার সময় দশ জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এই সময় তাদের কাছ থেকে জিহাদি বই ও ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া থানায় উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মাওলানা সিরাজুল ইসলামকে পলাতক দেখিয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি নাশকতার মামলা করা হয়েছে।

খুলনা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, উপজেলার রঘুনথপুর ইউনিয়নের কোমরাইল গ্রামের রফিকুল ইসলাম জোয়ার্দারের বাড়িতে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের নিয়ে জামায়াত নেতারা গোপন বৈঠক শুরু করে।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তেরখাদা থানার শিবির নেতা হামিদ হাসান, আন্দুলিয়া গ্রামের মিকাইল হোসেন আকুঞ্জি, টোলনা গ্রামের রবিউল ইসলাম পারভেজ, একই গ্রামের আম্মান মোল্যা ও তুরান বিশ্বাস, মিকশিমিল গ্রামের মাজহারুল শেখ, বরুণা গ্রামের বিএম হাবিবুল্লাহ ও একই গ্রামের মাসুম বিশ্বাস, রুদাঘরা গ্রামের তুহিন ফকির ও কোমরাইল গ্রামের রফিকুল জোয়ার্দারকে আটক করে পুলিশ।

এ সময় সেখান থেকে লাল রঙের টেপ দিয়ে মোড়ানো পাঁচটি ককটেলসহ বেশ কিছু জিহাদি বই উদ্ধার হয়।

ডুমুরিয়া থানা ওসি হাবিল হোসেন বলেন, সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বানচালসহ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাশকতা করার উদ্দেশ্যে ছাত্রশিবিরের লোকজন বৈঠক করছে, এ ধরনের সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে ককটেল, জিহাদি বইসহ ১০ জনকে আটক করি। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বৈঠকস্থান থেকে মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ও তার ভাইপো আবদুল্লাহ জোয়ার্দারসহ অনেকেই পালিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া থানায় এসআই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি নাশকতা মামলা করেন।