বিশেষ প্রতিনিধিঃ
খুলনা মহানগরীর মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকের তালিকায় ১০নম্বরে থাকা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লব ধরা ছায়ার বাইর রয়েছন। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)’র সোনাডাঙ্গা থানার কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই পুরো বাস টার্মিনাল এলাকায় মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রন করছেন তিনি। দেশের বিভিন প্রান্ত থেকে আসা মাদক সোনাডাঙ্গা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে নগরীর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা হওয়ায় প্রশাসনের মাদক বিরোধী অভিযানের আওতায় আসছেনা বিপ্লবসহ তার মাদকের গ্যাং।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০৪ সাল থেকে খুলনা মাটরশ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হছেন জাকির হোসেন বিপ্লব। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে শ্রমিক দলের মহানগর যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন তিনি। এরপর সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে তিনি আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন শ্রমিকলীগে যোগদান করেন।
গোয়ন্দো তথ্যমতে জানা গেছে, জাকির হোসেন বিপ্লব টার্মিনাল এলাকায় তার মাদকের ব্যবসা ও বাস টার্মিনালের নিয়ন্ত্রন রাখতে রাজনৈতিক দলবদল করে ক্ষমতাশীন দলের আশির্বাদপুষ্ঠ হয়ে থাকেন। এছাড়া তিনি প্রতিদিন খুলনা মোটর সেক্টর থেকে কয়েক লাখ টাকা চাঁদাবাজি করেন। ব্যক্তিগতভাব তিনি কয়েক বছরের মধ্যে একাধিক পরিবহন ও খুলনা মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় নামে বেনাম প্রায় ১০কাটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। এছাড়া তিনি প্রায় শত কাটি টাকার মালিক বনে গেছেন বলেও সুত্রটি থেকে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, জাকির হোসেন বিপ্লবের মাদকের ব্যবসা ও পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির জন্য রয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রধারী ২৫/৩০জনের একটি সংগবদ্ধ গ্রুপ। প্রশাসনের চোখে ধুলা দিতে এ বাহিনীর সকল সদস্যকে খুলনা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের পরিচয়পত্র দিয়ে রেখেছেন তিনি। তার ওই বাহিনীর প্রথম সাড়ির ক্যাডাররা হলেন, রফিকুল ওরফে পোটকা রফিকুল, জাহিদ ওরফে লড জাহিদ, আলম ওরফ প্রেস অালম ওরফে মাইক্রাে আলম, মােঃ আলী ওরফে বাবা আলী, রানা ওরফে বাংলা রানা, ফারক ওরফে চােপড়া ফরেুক, বিল্লল, আজিজ, আশরাফুল, দুলাল ওরফে ফানটু দুলাল অন্যতম। আর এসকল ক্যাডারদের নিয়ন্ত্রন করছে জাকির হোসেন বিপ্লবের ছেলে ঐশী।
প্রধামেন্ত্রীর দপ্তর থেকে স্বরাষ্টমন্ত্রনালয় হয়ে খুলনার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আসা মাদকের পৃষ্ঠপােষকদের তালিকায় থাকা জাকির হােসেন বিপ্লব অপ্রতিরোধ্যভাবেই তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত তার বরেুদ্ধে খুলনার কোন প্রশাসনের পদক্ষেপ দৃশ্যমান হয়নি।
তবে নাম প্রকাশ অনিছুক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, জাকির হোসেন বিপ্লব মোটরশ্রমিক নেতা হওয়ায় তার বিরদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কিছুটা গড়িমসি হচ্ছে। তাকে আটক বা গ্রেফতার করলে তার অনুসারিরা বাস চলাচল বন্ধ করে আন্দোলন করতে পারে এধরনের আশঙ্কা রয়েছে।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার সামনে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালকে কেন্দ্র করে গড়ে ৮/১০বছর ধরে জাকির হোসেন বিপ্লবের মাদকের ব্যবসা গড়ে উঠেছে। খুলনা টু চট্টগ্রাম রুটে চলা একটি পরিবহনের দায়িত্বে রয়েছেন তার ছেলে ঐশী। ওই পরিবহনে করে খুলনায় বড় বড় ইয়াবার চালান প্রবেশ করে বলে একটি সুত্র জানায়। এরপর সেই ইয়াবা ছড়িয়ে দেয়া হয় নগরীর বিভিন্ন ডিলারের কাছে। সেখান থেকে ছোট ছোট ডিলার এবং বিক্রেতাদের হাতে পৌছে যায়। এ ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে তিনি যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে সেই দলে যোগদান করে ক্ষমতাশীন নেতাদের আশির্বাদপুষ্ঠ হয়ে থাকেন।
এবিষয় খুলনা মেট্রােপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, মাদক বিক্রেতাদের কোন ছাড় হবে না।