সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
গত ৮জানুয়ারি দৈনিক পূর্বাঞ্চলে শেষের পাতায় কমার্স কলেজে মহড়ায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি বিএনপির এবং ৭ জানুয়ারি দৈনিক সময়ের খবর পত্রিকায় শেষের পাতায় কমার্স কলেজে ছাত্রলীগের সশস্ত্র মহড়ায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি নগর বিএনপি’র শিরোনামে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দের দেয়া বিবৃতির তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
প্রতিবাদে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আওয়ামী লীগের গণতান্ত্রিক মূলধারাকে সামনে রেখেই রাজনীতি করে। আওয়ামী লীগ যেমন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনৈতিক মোকাবেলা করে তেমনি তার সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও গণতান্ত্রিক ভাষায় রাজনীতি করে। আওয়ামী লীগ যেমন অস্ত্র ও অগ্নি সন্ত্রাসের ভাষায় রাজনীতি করে না তেমনি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও। বিএনপি নেতৃবৃন্দ ছাত্রলীগের মিছিলকে সন্ত্রাস ও অস্ত্র মহড়ার কথা বলেছেন। যা ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বিএনপি পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া বাধিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, একজন রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই তার ছাত্রসংগঠন শ্লোগান এবং মিছিল দিয়ে স্বাগত জানাবে এটাই স্বাভাবিক। যেটি কমার্স কলেজ ছাত্রলীগ করেছে। আর এই শ্লোগানকে সন্ত্রাসী হামলা চালানো বলে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ অপপ্রচার করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করেছে। গত ৭ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে রেজিষ্টার্ড গ্রাজুয়েটস প্রতিনিধি নির্বাচনের সময় বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের টেন্টে ছাত্রলীগ হামলা করেছে বলে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ মিথ্যা অভিযোগ করে সাধারণ ছাত্র ও মানুষের মাঝে ভীতি সৃষ্টি করার অপকৌশল অবলম্বন করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিএনপি’র হাতে কোন রাজনৈতিক ইস্যু না থাকায় তারা মাঠে আন্দোলন করার কোন সুযোগ পাচ্ছে না। এখন মিথ্যা বানোয়াট উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে নির্বাচনকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষকে অপপ্রচার করছে। তারা গোয়েবলসির মিথ্যা তথ্যের কথা বলছেন, অথচ তারা নিজেরাই মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করে সত্যে পরিণত করতে অপচেষ্টা করছে। বিএনপি’র এসব মিথ্যা অপপ্রচার এখন আর বাংলার মানুষ গ্রহণ করবে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কমার্স কলেজসহ খুলনার কোন কলেজে বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ছাত্রদলের কোন অবস্থান নেই। বিএনপি বহিরাগতদের নিয়ে কমার্স কলেজ দখল করার অপচেষ্টা করে আসছে। সে সকল বহিরাগতরাই খুলনার শান্তিপ্রিয় কমার্স কলেজকে অশান্ত করার অপচেষ্টা করছে। তাদের এই অপচেষ্টা খুলনার মানুষ সফল হতে দেবে না।
নেতৃবৃন্দ বিএনপি’র নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতিবাদের ভাষা শালীন ও গণতান্ত্রিক হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু তাদের প্রতিবাদের ভাষা দেখলেই বোঝা যায় যে, কমার্স কলেজে আদৌও কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। সুতরাং এ ধরনের মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বিবৃতি না দিয়ে গণতান্ত্রিক পথে কথা বলার আহবান জানান।
বিবৃতিদাতা নেতৃবৃন্দরা হলেন, কেন্দ্রিয় নেত্রী ও সাবেক মন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সাধারণ সম্পাদক ও ১৪দলের সমন্বয়ক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান এমপি।