টাইমস প্রতিবেদন :
বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া বলেছেন, এ বছর সারাদেশে চার কোটি ৩৭ লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার বই বিতরণ করা হচ্ছে। বছরের প্রথম দিনে সকল শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দিতে পারার নজির পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। এটি আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর এক ব্যতিক্রমধর্মী ও বিরল উদ্যোগ।
তিনি আজ সকালে খুলনা জিলা স্কুল মাঠে ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব ২০১৮’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মাধ্যমিক ও উ”চ শিক্ষা অধিদপ্তর, খুলনা অঞ্চল, খুলনা এই উৎসবের আয়োজন করে।
প্রধান অতিথি বলেন, একটা সময় ছিল যখন সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সন্তানেরাই নতুন বই এর ঘ্রাণ নিতে পারত, দরিদ্র পরিবারের ছেলে মেয়েদের জন্য নতুন বই ছিল সোনার হরিন। অর্থাভাবে বই কিনতে না পেরে বহু শিক্ষার্থীর পড়াশুনা প্রাথমিক স্তরেই থেমে যেত। কিš‘ ২০১০ সাল থেকে ধনী গরীব নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থীর জন্য বিনামূল্যে বই বিতরণের এক মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করে সরকার। এখন আর বই এর অভাবে কারো পড়াশুনা মাঝপথে থমকে দাঁড়ায় না।
বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে কেবল শিক্ষিত করে তুললেই হবে না, তারা যেন মাদক বা জঙ্গীবাদের মত সর্বনাশা কর্মকান্ডে জড়িয়ে না পড়ে সেদিকে অভিভাবকদের আরও সর্তক হতে হবে। কোন পরিবারে যদি একটি সন্তান মাদকাসক্ত হয় তাহলে সেই পরিবারে আর কোন শান্তি থাকে না। সেই পরিবার সামাজিকভাবে নিগৃহীত হয়। তাই সন্তানদেরকে সময় দিতে হবে। তাদের চালচলন আচার আচরনের প্রতি সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তবেই তাদেরকে আমরা ২০৪১ সালের বাংলাদেশের জন্য যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক প্রফেসর এটিএম জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই পাঠ্যপুস্তক উৎসবে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসান এবং খুলনা সদর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট মোঃ সাইফুল ইসলাম। স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রুহুল আমীন।
উল্লেখ্য, এবছর খুলনা বিভাগে ৬১টি উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের ১৮ লক্ষ শিক্ষার্থীর মাঝে ২ কোটি ৫০ লক্ষ বই বিতরন করা হচ্ছে। খুলনা বিভাগে গত বছরের তুলনায় এ বছর এক লক্ষ শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে।