নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনার বাজারে ইজিবাইকে ব্যবহৃত নকল ব্যাটারী প্রস্তুত ও বাজারজাত চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। এ চক্রের হোতা নগরীর সোনাডাঙ্গা মজিদ স্মরণীস্থ এআর এন্টারপ্রাইজের মালিক শেখ আসাদুজ্জামান (৫০) ও তার স্ত্রী রেক্সোনা জামান (৪২)’র নামে ইতমধ্যে এ অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। আদালতে আত্মসমর্পণের পর তারা জামিন নিলেও মামলার অপর দু’জন আসামি এখনো জেল হাজতে রয়েছেন। গত ৯সেপ্টেম্বর এ.আর এন্টারপ্রাইজের একটি নিজস্ব শো-রুম থেকে নকল ব্যাটারীসহ ৪জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় দু’জন চাইনিজ নাগরিককেও আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর এসকল চক্রের কারনে সাধারণ ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্থসহ প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন। সরকার তাদের এ জালজালিয়াতির কারনে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।
জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলাচলরত ইজিবাইকের ব্যাটারী নকল করছে একটি চক্র। এ চক্রের সাথে কিছূ চায়না নাগরিক জড়িত রয়েছে। এসকল নকল পণ্য খুলনার বাজারে কেনা-বেচা করছে নগরীর সোনাডাঙ্গা মজিদ স্মরণীস্থ এআর এন্টারপ্রাইজের মালিক শেখ আসাদুজ্জামান ও তার স্ত্রী রেক্সোনা জামান। প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন কোম্পানীর নাম, লোগো নকল করে তারা নিম্ন মানের ব্যাটারী বাজারে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সাধারণ মানুষ না বুঝে এসকল ব্যাটারী কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। এ.আর এন্টারপ্রাইজের মালিক এসকল নকল ব্যাটারী পন্য বিক্রি করে অবৈধভাবে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন চাঁদপুরের শাহরাস্তির নোয়াগাঁও এলাকার মোঃ মোশারফ হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (২৭), নিরালা ৫নং রোডের মোঃ খোকনের ছেলে রায়হান (২২), নড়াইলের নড়াগাতি গল¬াহাটির আজিজুল ইসলামের ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩০) ও একই এলাকার জাফরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২০)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বাংলাদেশের ফ্রেশ ট্রেড (বিডি) লিঃ নামক প্রতিষ্ঠানটি জিন ডিং পাওয়ার প¬াস, এসএফ ডয়েডো ব্রান্ডের ইজিবাইকের ব্যাটারী দীর্ঘদিন ধরে আমদানি ও উৎপাদন করে আসছে। এসকল ব্রান্ডের প্রতিষ্ঠানের নাম ও লোগো নকলের মাধ্যমে ব্যাটারী প্রস্তুত করে বাজরজাত করছে একটি প্রতারক চক্র। খুলনার বাজারে এ সকল নকল ব্যাটারী বাজারজাত করছে সোনাডাঙ্গা মজিদ স্মরণীস্থ এ আর এন্টারপ্রাইজ। অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৯ সেপ্টেম্বর নকল ৬টি ব্যাটারীসহ এআর এন্টারপ্রাইজের একটি শো-রুম থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ফ্রেশ ট্রেড (বিডি) লিঃ’র ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মুহম্মদ নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন (নং-১৫)।