খুলনায় জেলা পর্যায়ের জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহের উদ্বোধন

0
596

তথ্যবিবরণী : আজ থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে একযোগে পালিত হচ্ছে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ। এ উপলক্ষে আজ সোমবার সকালে খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার রহমানিয়া এলিমেন্টারি বিদ্যালয়ে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ, ক্ষুদে ডাক্তার কর্তৃক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম ও শিশুদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে উদ্বোধন করেন খুলনা সিভিল সার্জন ভারপ্রাপ্ত ডাঃ মোঃ আতিয়ার রহমান শেখ।

উদ্বোধনকালে অতিথিরা বলেন, কৃমি মানুষের পেটে পরজীবী হিসেবে বসবাস করে। এরা খাবারের পুষ্টিটুকু খেয়ে ফেলে তাই মানুষ পুষ্টিহীনতার ভোগে। কৃমি শিশুদের মেধার বিকাশে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং শিশুরা মারাত্মক অপুষ্টিতে ভোগে। এর প্রতিরোধ করতে হলে খাবারের আগে ভালভাবে হাত পরিষ্কার করা, খাবার ঢেকে রাখা, স্যান্ডেল পায়ে বাথরুমে যাওয়া এবং পায়খানার পরে ভালভাবে সাবান বা ছাইদিয়ে হাত পরিষ্কার করা। তারা আরও বলেন, শিশুদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষক, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদের যথাযথ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। এজন্য অভিভাবকদের বেশি সচেতন হতে হবে।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কুতুবুদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুল মজিদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মতিউর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সেলিনা খাতুন এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নূরুল ইসলাম। খুলনা সিভিল সার্জন অফিস এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এবারে খুলনা জেলার নয়টি উপজেলার দুই হাজার দুইশত ২৮টি সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট তিন লাখ ৮৪ হাজার সাতশ ৪১ শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এছাড়া খুলনা মহানগরীতে পাঁচশ ৯১টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক লাখ ৪২ হাজার সাতশ ৭৩জন শিশুকে এ ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। সব মিলিয়ে পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৫১৪ শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে।

দেশে ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল ও কৃমি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় বছরে দুইবার এপ্রিল এবং অক্টোবর মাসে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালন করা হয়। সপ্তাহব্যাপী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সমপর্যায়ের মাদ্রাসা, মক্তব ও এতিমখানাসমূহে ৫-১৬ বছরের সকল শিক্ষার্থী এবং স্কুল বহির্ভূত, ঝরেপড়া, পথশিশু ও শ্রমজীবী শিশুদের বিনামূল্যে কৃমি নাশক ট্যাবলেট (মেবেনন্ডাজল ৫০০ মি.গ্রাম) খাওয়ানো হবে।