এম জে ফরাজী : ‘হেলমেট ব্যতিত চালকের মটরসাইকেলে জ্বালানি বিক্রয় না করার জন্য অনুরোধ করা হলো।’ এমন বিজ্ঞপ্তি লিখে খুলনার সব পেট্রোল পাম্প স্টেশনে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের আদেশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানোর পর থেকে হেলমেট ছাড়া তেল বিক্রি করবে না বলে জানায় পেট্রোল পাম্পগুলো। ফলও দেখা গেছে তাৎক্ষণিকভাবে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পেট্রোল পাম্পে হেলমেট ছাড়া তেল নিতে গিয়ে ফিরে আসেন অনেক বাইকচালক। তবে কিছু কিছু স্থানে পুলিশের নোটিশ থাকলেও নিয়ম ভেঙে তেল বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, কেএমপি’র নোটিশ পাওয়ার পর নগরীর পেট্রোল পাম্পে হেলমেট ছাড়া তেল বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তেল না পেয়ে ফিরে আসেন রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিকসহ সাধারণ লোকজন। নগরের প্রাণকেন্দ্রের পাম্পগুলো হেলমেট ছাড়া তেল সরবরাহ বন্ধ রাখলেও নগরীর প্রবেশদ্বারগুলোতে নিয়ম-নীতি না মেনে তেল বিক্রি করার প্রমাণ মিলেছে। যদিও সেখানে কেএমপির বিজ্ঞপ্তি টানানো রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে হেলমেট ছাড়া তেল না পেয়ে ফিরে আসেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সাংবাদিক সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাট। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুকে লেখেন, ‘হেলমেট ছাড়া তেল পেলাম না। আইনের প্রতি সবাই শ্রদ্ধাশীল হই।’
তবে সন্ধ্যার পর পরই কয়েকটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে খালিশপুর থানা ছাত্রলীগ নেতা ইফতেখার সাদাত লেখেন, ‘হেলমেট ছাড়া নাকি জ্বালানি দেওয়া যাবে না, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের নির্দেশ থাকা শর্তেও কিভাবে এরা কিভাবে তেল নেয়?’
এ বিষয়ে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নগরীর প্রবেশমুখ সাচিবুনিয়া, ফায়ারফ্লাই রেস্টুরেন্ট এর পাশে একটি পেট্রোল পাম্প স্টেশনে কেএমপি’র আদেশ সম্বলিত বিজ্ঞপ্তি থাকলেও হেলমেট ছাড়া তেল বিক্রি করা হচ্ছে।
দুপুরে ফুয়েল ষ্টেশনে জ্বালানি নিতে আসা জনৈক চয়ন ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি জানতাম না। আজ জেনে হেলমেটসহ জ্বালানি নিতে এসেছি, তবে সিন্ধান্তাটি সময় উপযোগী।
খুলনা মেট্রোপলিটন পেট্রোল পাম্প ম্যানেজার জানান, কেএমপির কর্মকর্তারা ফোন করে আমাদের হেলমেট ছাড়া তেল না দিতে অনুরোধ করেছেন, আমরা আজ থেকে হেলমেট ছাড়া মটর সাইকেলে জ্বালানি দিচ্ছি না।
এ ব্যাপারে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. কামরুল ইসলাম জানান, কেএমপির এক সভায় মটর সাইকেলে হেলমেট ছাড়া তেল না প্রদান করার জন্য পেট্রোল পাম্পগুলে কে অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত— গৃহিত হয়। পেট্রোল পাম্পগুলো কেএমপির অনুরোধ মোতাবেক তেল সরবরাহ বন্ধ রাখে। ফলে দু’টি উপকার হচ্ছে যে, মটর সাইকেল চালক আইন মানছে। সেই সাথে চালকের নিরাপত্তাও রক্ষা হচ্ছে।