নিজস্ব প্রতিবেদক
খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা বকেয়া মজুরির দাবিতে শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ মিছিল এবং রাজপথ-রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেয় । শনিবার দুপুরে সার্কিট হাউজে বহুপক্ষীয় সমন্বয় সভায় ঈদের আগেই বকেয়া মজুরি ও বোনাস প্রদানের আশ্বাস দেওয়ায় কর্মসূচি স্থগিত করে নেয় খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকরা।
এর আগে বকেয়া মজুরির দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন শুরু করে শ্রমিকরা। শুক্রবার শ্রমিক জনসভা থেকে রাজপথ-রেলপথ অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সকালে মিল এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে শ্রমিকরা। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার দুপুর খুলনা সার্কিট হাউজ জরুরী সভা আহ্বান করেন জেলা প্রশাসক।
সার্কিট হাউজের সম্মেলনে কক্ষে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ, পাটকল কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক নেতা, শ্রম অধিদপ্তর, বিজেএমসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। সভায় শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী ঈদের আগেই বকেয়া মজুরি ও বোনাস প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-ননসিবিএ ঐক্য পরিষদের কার্যকরী আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন বলেন, বৈঠকে বিজেএমসি পূর্বের তিন সপ্তাহ মজুরির সঙ্গে চলতি তিন সপ্তাহের বকেয়া মজুরি প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে। এছাড়া নিয়মিত ঈদ বোনাসও সময়মতো প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছে। ফলে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
শ্রমিকরা জানান, গত ঈদের পর থেকে তাদের মজুরি বকেয়া। বর্তমানে ক্রিসেন্ট জুট মিলে চলতিসহ ৭ সপ্তাহ, প্লাটিনাম জুট মিলে ৮ সপ্তাহ, খালিশপুর, কার্পেটিং, দৌলতপুর ও স্টার জুট মিলে ৬ সপ্তাহ, আলিম ও ইষ্টার্ন জুট মিলে ৮ সপ্তাহ ও জেজেআইতে ৮ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া রয়েছে। বিপুল অংকের টাকা মজুরি বকেয়া থাকায় শ্রমিকরা খেয়ে, না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। মিলে কাজ করেও মজুরি না পাওয়ায় শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। গত বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক মজুরি না পেয়ে শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।