খুলনার ড্রাগ সুপার হঠাৎ প্রত্যাহার

0
805

কেএইচএম:
নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রি ও লাইসেন্সবিহীন ওষুধ ফার্মেসীগুলোতে গত নভেম্বর মাসে জোরালে অভিযান পরিচালনা করেন  খুলনা ড্রাগ সুপার মোঃ মাসুদুজ্জামান। এরপর পরই তাকে হঠাৎ প্রত্যাহার করা নিয়ে নানান গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। অভিযানে জোরালো ভূমিকা থাকায় খুলনা বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট (বিসিডিএস) একটি অংশ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রদান করেন। এমন পরিস্থিতির কারণে তাকে প্রত্যাহার করা হয়। এ ব্যাপারে একটি ৩ সদস্য কমিটিও গঠন করা হয়েছে।  মাত্র ৩ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে খুলনা জেলা শাখার বিসিডিএস (অবৈতনিক) সম্পাদক কবির উদ্দিন বাবলু বলেন, ড্রাগ সুপার মোঃ মাসুদুজ্জামান এর অভিযানের সময় আচরনগত কারণে তার বিরুদ্ধে বিসিডিএস এর কিছু সদস্যরা অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযানের কারণে তার বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ তুলা হয়েছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
খুলনা ড্রাগ সুপার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ রেহান হাসান বলেন, স্থানীয় খুলনার কিছু কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির (বিসিডিএস) কিছু কর্মকর্তারা খুলনার ড্রাগ সুপার মোঃ মাসুদুজ্জামানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তিন সদস্য কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে পারবেন না।  ওই তদন্ত কমিটি তিনি অন্যতম সদস্য।
খুলনা ড্রাগ সুপার কার্যালয় সূত্র মতে, গত আগষ্ট মাসের ৯ তারিখে মোঃ মাসুদুজ্জামান খুলনার ড্রাগ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন। এরপর গত ৬ নভেম্বর হঠাৎ করে তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তিন মাসেরও কম সময় এর মধ্যে তাকে প্রত্যাহার বিষয় নিয়ে নানান ধরনের গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ওই ড্রাগ সুপার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তিনি নগরী ও উপজেলাগুলো বিভিন্ন ফার্মেসীগুলো অভিযান পরিচালনা করেন। যে সব ফার্মেসীতে নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রি ও লাইসেন্স নেই তাদেরকে জরিমানা করা হয়। গত নভেম্বর মাসে নগরীর ৩টি ফার্মেসীকে বিভিন্ন অভিযোগে ওই ড্রাগ সুপার তাদের জরিমানা করেন। এ সময় তিন ফার্মেসেিক মিলে মোট ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে তিনি কয়রা ও পাইকগাছায় কয়েকটি ফার্মেসীকেও বিভিন্ন অনিয়মের কারণে জরিমানা করেন। সংশ্লিষ্ট এলাকার ভ্রম্যামান আদালত এর মাধ্যমে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব এর কারণে বিসিডিএস’র কিছু কর্মকর্তারা তার ওপর নাখোশ হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরই গত ৬ নভেম্বর ড্রাগ সুপার মো: মাসুদুজ্জামান হঠাৎ করে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। এরপরই ড্রাগ সুপারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ৩ সদস্য একটি তদন্ত টিম গঠন করেন। নভেম্বর মাসে শেষে দিকে ওই কমিটি খুলনায় এসে তদন্ত করে যান। ওই তদন্ত কমিটিতে বর্তমান অতিরিক্ত দায়িত্ব থাকা ড্রাগ সুপার মোঃ রেহান হাসানও ছিলেন। ##