খুবিতে গলদা চিংড়ি চাষে বায়োফ্লক প্রযুক্তি ব্যবহার শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

0
859

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
আজ ১১ জুলাই সকাল সাড়ে ৯ টায় আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন অফিসের কনফারেন্স রুমে ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি (এফএমআরটি) ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে গলদা চিংড়ি চাষে বায়োফ্লক প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর গবেষণা প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর এ কে ফজলুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবু সৈয়দ, বাগেরহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খান কামাল উদ্দিন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন এফএমআরটি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. গাউছিয়াতুর রেজা বানু। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রকল্পের প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. খন্দকার আনিছুল হক প্রকল্পটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট বিষয় পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপন করেন বাগেরহাটের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের, সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার মোঃ আমিরুল ইসলাম এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও প্রকল্পের কো-ইনভেস্টিগেটর জয়ন্ত বীর। প্রকল্পটির অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ একাডেমিক অব সায়েন্স (বিএএস)- ইউএসডিএ প্রোগ্রাম ইন এগ্রিকালচারাল লাইফ সায়েন্স। অনুষ্ঠানে বক্তারা বায়োফ্লক প্রযুক্তির ব্যবহার ও গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বায়োফ্লক হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ক্ষুদ্র অনুজীব, শৈবালের সমন্বয়ে তৈরি এক ধরনের পাতলা আবরণ (ফ্লিম) যেটা জলজ পরিবেশ থেকে নাইট্রোজেন জাতীয় ক্ষতিকর উপাদান শোষণ করে নেয়। সেই সাথে প্রোটিনসমৃদ্ধ ফ্লকগুলো গলদার খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর ফলে কম খাবার প্রয়োগ করেও বেশি উৎপাদন সম্ভব হয়। যেহেতু গলদা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানিযোগ্য মৎস্য সম্পদ তাই বায়োফ্লক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এন্টিবায়োটিকমুক্ত গুণগতমান সম্পন্ন গলদা চিংড়ি উৎপাদনে সাফল্যের পাশাপাশি জলজ পরিবেশ ভালো রাখা সম্ভব। এই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারে গলদার উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, পাশাপাশি উৎপাদন খরচও কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। এ সময় মৎস্য বিভাগ, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, ওয়ার্ল্ডফিশ সোলিডারিড্যাড, উইনরক ইন্টারন্যাশনাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এফএমআরটি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ফিড ট্রেডার্স ও চিংড়ি চাষীগণ উপস্থিত ছিলেন।