খুলনা টাইমস প্রতিবেদক:
খুলনার কয়রা উপজেলার বাবুরাবাদ গ্রামে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়ে গ্রেপ্তার কয়রা উপজেলা বিএনপির সভাপতিসহ ১০ নেতা-কর্মীকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও সহিংসতার অভিযোগ আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাদের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানার এসআই ফারুক হোসেন বাদী হয়ে নাশকতার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। রোববার তাদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। সোমবার আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। দুপুরে খুলনার দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা তাদের নেতাদের হয়রানির অভিযোগ করেছেন। জেলা বিএনপি এর আয়োজন করে।
শফিকুল আলম মনা বলেন, কোনো বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা না করে শুধু প্রতিপক্ষকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে পুলিশ গত শনিবার স্থানীয় বিএনপি নেতার বাড়ি ঘেরাও করে তাদের গ্রেপ্তার করেছে। কয়রা থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে কয়রা উপজেলা বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম, পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির আহŸায়ক ডা. আব্দুল মজিদ, পাইকগাছা পৌর বিএনপির আহŸায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালের ভাই শেখ জাহিদুল বারী রনি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন ডাবলু, কাজী হাবিবুর রহমান রিটু, রূপসা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি বিকাশ মিত্র, ইগ্রাফিল হোসেন, তাজউদ্দিন আহমেদ ও আরিফ শেখসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, মামলায় ২৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করার পরিকল্পনা চলছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মনা বলেন, দশম সংসদ নির্বাচনের পর থেকে নয় উপজেলা ও দুই পৌরসভায় দেড় হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি গ্রেপ্তারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন।
মুক্তি দেওয়া না হলে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে উলেখ করে তিনি বলেন, পুলিশ শুধু বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছে না, গ্রামের সাধারণ মানুষকেও নানাভাবে নির্যাতন করছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান, খান জুলফিকার আলী জুলু, মনিরুজ্জামান মন্টু, খান আলী মুনসুর, আবু হোসেন বাবু প্রমুখ।