কয়রা প্রতিনিধি :
কয়রায় দশালিয়া গ্রামে কপোতাক্ষ নদীর চরে শত বিঘা চিংড়ী ঘের জোরপূর্বক দখল করতে আসায় বাঁধা প্রদান করলে প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে ৪ জন কে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন দশালিয়া গ্রামের মিঠুন (২৪), আনারুল (২৭), আশরাফ (২২) ও ইউনুছ মোড়ল (৪৫)। খবর নিয়ে জানা গেছে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় পার্শ্ববর্তী আশাশুনি উপজেলার কুড়িকাউনি গ্রামের দুর্নিতির দায়ে বহিস্কৃত সন্ত্রাসী রফিকুল মেম্বর, আব্দুল্লাহ ও সুভাদ্রাকাটি গ্রামের সন্ত্রাসী সোহরাবের নেতৃত্বে অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি ঘের দখলের চেষ্টা চালায়। এ সময় কয়রা উপজেলার দশালিয়া, আটরা ও গোবিন্দপুর গ্রামের চিংড়ী ঘের মালিক আফছার মোড়ল, সাহেব আলী গাজী, ফরিদ শেখ সহ ৩১ জন বাঁধা প্রদান করে। কিন্তু পরিকল্পিত ভাবে দখল করতে আসা রফিকুল বাহিনীর লোকজন বন্দুকের গুলি করে এবং দায়ের কোপে ৪ জনকে জখম করলে ঘের মালিকরা আহতদের নিয়ে ফিরে আসে। অতঃপর রফিকুল বাহিনী উক্ত ঘের দখল করে নেয়। এ বিষয় সরেজমিনে জানা গেছে খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার সীমান্তে কপোতাক্ষ নদীর মধ্যে জেগে ওঠা কয়রা উপজেলার দশালিয়া মৌজার শতাধিক বিঘা জমিতে চিংড়ী ঘের করে আসছেন স্থানীয় ৩০/৩৫ জন চিংড়ী চাষী। উল্লেখ্য কয়রার দশালিয়া, আটরা গ্রামের ৩৫ জন ব্যক্তি খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে চিংড়ী চাষের জন্য শত বিঘা জমির ৩১ টি চিংড়ী চাষের ডিসি আর নিয়ে ঘের করে আসছে দীর্ঘদিন। তবে নদীর অপর পাড়ে কুড়িকাউনিয়া গ্রামের লোকজন চরটি তাদের বলে দাবি করলেও কয়েক দফা মাপে কয়রার দশালিয়া মৌজার প্রাপ্য হয়েছে। কিন্তু তার পরও রফিকুল বাহিনী লোভের বশে এ হামলা চালায়।