খুলনা টাইমস: ‘গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবিতে অাগামীকাল (২ জুলাই) দেশজুড়ে পতাকা মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো।’ কোটা সংস্কারের দাবিতে অান্দোলনের সময় গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে দেশব্যাপী পতাকা মিছিল ও বিক্ষোভ করবে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
১ জুলাই, রবিবার শাহবাগে দাঁড়াতে না পেরে পরীবাগ ওভার ব্রিজের নিচে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে পতাকা মিছিলের ঘোষণা দেন কয়েকজন নেতা।
সে সময় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফুন নাহার নীলা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও কেন এখনো তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না? অামরা দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানাচ্ছি। আর আন্দোলনকারীদের সারা দেশে গণহারে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
তাই গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবিতে অাগামীকাল (২ জুলাই) দেশজুড়ে পতাকা মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো। অাশা করি, সকল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।’
এর আগে ১ জুলাই, রবিবার দুপুর ১২টার দিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্যতম নেতা মুহাম্মদ রাশেদ খাঁনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
৩০ জুন, শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর ও অন্যদের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালান। যদিও ছাত্রলীগ হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, পুরোপুরি বাতিল নয়, কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ১০ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রচলিত ব্যবস্থায় ৫৬ শতাংশ আসনে কোটায় নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা। ১০ শতাংশ নারীদের জন্য, জেলাভিত্তিক ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্ধ রয়েছে ১ শতাংশ কোটা।